শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:৫১ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:৫৭ পিএম
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দেবর-জায়ের দেওয়া আগুনে এক নারীর মৃত্যুর অভিযোগ মামলা হয়েছে। সোমবার (১ জানুয়ারি) নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভূঁইয়া মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে শুক্রবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।
নিহত আঞ্জুমানারা বেগমের মেয়ে আকলিমা আক্তার রবিবার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে নালিতাবাড়ী থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন—নিহতের দেবর উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দীন, তার স্ত্রী মোছা. আম্বিয়া খাতুন ও তাদের ছেলের স্ত্রী মোছা. মালেকা বেগম।
পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাগিচাপুর গ্রামের আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর জমির ওয়ারিশ নিয়ে তার স্ত্রী আঞ্জুমানারা ও একমাত্র মেয়ে আকলিমার সঙ্গে আবুল কাশেমের ছোট ভাই গিয়াস উদ্দীনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আঞ্জুমানারাকে জোর করে ঘর থেকে বের করে আনেন তার দেবর, জা ও তাদের ছেলের বউ। এ সময় আম্বিয়া ও তার ছেলের বউ মালেকা ওই নারীর গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয়। পরে গিয়াস উদ্দীন তার শরীরে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
পরে ওই নারীর ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার তার মৃত্যু হয়।
মামলার বাদী আকলিমা বলেন, ‘আমার বাবা দুনিয়ায় নেই। বাবার মৃত্যুর পর এই দুনিয়ায় মা আমার একমাত্র আপনজন ছিল। জমি নিয়ে আমার চাচা-চাচি আমার মাকে পুড়িয়ে মেরেছে। আমি তাদের উপযুক্ত শাস্তি চাই, ন্যায়বিচার চাই।’
ওসি মনিরুল আলম ভূঁইয়া বলেন, ‘নিহতের মেয়ে আকলিমা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’