থার্টি ফার্স্ট নাইট
কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২৭ পিএম
আপডেট : ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:১৯ এএম
থার্টি ফার্স্ট নাইট (৩১ ডিসেম্বর) ঘিরে থাকে লাখো মানুষের উচ্ছ্বাস। দেশের ভেতরে এ দিনটি উদযাপনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। প্রতিবছরই শেষ সূর্যাস্ত ও প্রথম সূর্যোদয় দেখতে কুয়াকাটায় আগমন ঘটে হাজারো পর্যটকের। এ উপলক্ষে বাড়তি চাপ তৈরি হয় পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায়। প্রতিবছরের ন্যায় এ বছর হোটেল-মোটেল ও ব্যবসায়ীদের ছিল আগাম প্রস্তুতি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী আগমন ঘটেনি পর্যটকের। তাই হতাশ পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, বিনোদন স্পটসহ বিভিন্ন স্থান রঙিন লাইট, বেলুন দিয়ে সাজিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ব্যস্ত সবাই। বেশিরভাগ হোটেল ধোয়া-মোছা করে পরিপাটি করে রাখা হয়েছে। তবে কাঙ্ক্ষিত বুকিং না পেয়ে হতাশ বেশিরভাগ হোটেল মালিক ও ব্যবসায়ী।
হোটেল-মোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটের কাছাকছি কোনো সরকারি বন্ধ না থাকা এবং দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে মাত্র ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বুকিং হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির হোটেলগুলোতে কোনো প্রকার অগ্রিম বুকিং হয়নি। অন্যান্য বছরের এ সময় হোটেলগুলোতে প্রায় শতভাগই বুকিং থাকত।
হোটেল সৈকতের স্বত্বাধিকারী শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হরতাল-অবরোধের ধাক্কায় থার্টি ফার্স্টের মতো বড় উৎসবেও আমরা লোকসান দিচ্ছি। এই মুহূর্তেও আমাদের রুম খালি যাচ্ছে, যা করোনাকালীন সময়ের পরে এই প্রথম।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণত সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, বছরে যতগুলো উৎসবে কুয়াকাটায় পর্যটকে মুখর থাকে, তার মধ্যে থার্টি ফার্স্ট নাইট অন্যতম। তাই এই উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের অনেক আয়োজন থাকে। তবে এবার ২০ শতাংশও বুকিং হচ্ছে না। যে কারণে হোটেল মালিক ও পর্যটকদের সেবা দেওয়া ২৬টি পেশার মানুষ বিপাকে। তারা পরিবার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে।
কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, ‘প্রতিবারের ন্যায় আজকে পর্যটক অনেক কম। হরতাল-অবরোধে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য থার্টি ফার্স্ট নাইটেও পর্যটন ব্যবসায়ীরা হতাশ। তাদের ব্যবসার এখন দুর্দিন যাচ্ছে।’
কুয়াকাটা রিজিয়নের ট্যুরিস্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ডিসেম্বরজুড়েই সৈকতে পর্যটকদের চাপ থাকে। তবে বর্তমানে কিছুটা কম, তারপরও আমরা তৎপর রয়েছি। যাতে পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।’