রংপুর অফিস
প্রকাশ : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫১ পিএম
রংপুর নগরীর আমতলা বিদ্যাপীঠ অ্যান্ড কলেজে পিঠা উৎসবে হরেক পিঠার পসরা নিয়ে বসেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো
পৌষের শীত যেন একটু বেশি জেঁকে বসেছে রংপুরে। সকালের সূর্যটা ঢাকা পড়ে থাকছে কুয়াশায়। বছরের শেষ দিনে ছিল শিরশির বাতাস। দিন পেরুলেই নতুন বছর। নতুন বইয়ের গন্ধে মাতবে শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে বছরের শেষ দিনে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর আমতলা বিদ্যাপীঠ অ্যান্ড কলেজে বসেছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মিলন মেলা।
স্কুল প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীদের পিঠা উৎসবে নানা পিঠার পসরা সাজানো হয়েছিল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্টলে। দুধ পিঠা, গড়গড়ি পিঠা, সুজি পিঠা, নারকেল পিঠা, নকশি পিঠা, আলুর চপ, মোরব্বা, মিষ্টি কুমড়ার পিঠা, ভাপা পিঠা, নকশী পিঠা, ডিম পিঠা, পাপড়ী পিঠা, ঝিনুক পিঠা, ফুলসুন্দরী পিঠা, বিবিখানা পিঠাসহ নানা পিঠায় সুসজ্জিত ছিল স্টলগুলো। পৌষের উৎসবে শিক্ষার্থীরা নানা পিঠার স্বাদ নেওয়াসহ পিঠার সঙ্গে পরিচিত হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেছে।
দশম শ্রেণির ছাত্র সাদমান জামান বর্ণ বলেন, ‘আমার মা ও বোনের সহযোগিতা নিয়ে আমি নিজেই বাড়ি থেকে ৫ প্রকার পিঠা তৈরি করে স্কুলে নিয়ে এসেছি। এসব পিঠা এক সঙ্গে কখনও তৈরি করা হয়নি। পিঠাগুলোতে তৈরিতে কী কী উপকরণ লাগে তা জানতে পেরেছি। স্কুলের ছোট ভাই-বোন ও অভিভাবকরা আমার স্টল থেকে পিঠা খেয়ে প্রশংসা করেছেন। বছরের শেষ দিনে পিঠা উৎসবে অংশ নিতে পেরে আমার অনেক ভালো লেগেছে।
শিক্ষার্থী নাসের হোসেন বলেন, পিঠার স্টলে সবাই ভিড় করেছেন। নারকেল পিঠা, দুধ পিঠা, ভাপা পিঠাসহ সবাই পিঠাগুলোর স্বাদ গ্রহণ করেছেন। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তানজিয়া ইসলাম বলেন, ‘সোমবার আমরা নতুন বই পাবে। তার আগে স্কুলে পিঠা উৎসব হচ্ছে। আমি, আমার মাসহ পরিবারের সদস্যরা স্কুলে এসেছি। আমরা সবাই মিলে বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেয়েছি। অনেক ভালো লেগেছে।’
এদিকে স্কুল প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসবের সঙ্গে বিতর্ক উৎসব হয়েছে। সনাতনী বিতর্ক পদ্ধতিতে স্কুলের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনে অবহেলার মূল কারণ সন্তানের মানসিকতা’ এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ‘সচেতনতা নয় বরং কঠোর আইন প্রয়োগই পারে বাল্যবিবাহ রোধ করতে’ শিরোনামে প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। যুক্তি-তর্কের মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণের চেষ্টা চালান।
প্রতিযোগিতায় ‘বৃদ্ধ পিতা মাতার প্রতি দায়িত্ব পালনে অবহেলার মূল কারণ সন্তানের মানসিকতা’ বিতর্কে ষষ্ঠ শ্রেণি এবং ‘সচেতনতা নয় বরং কঠোর আইন প্রয়োগই পারে বাল্যবিবাহ রোধ করতে’ বিতর্কে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিজয়ী হয়। আয়োজনে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন, রংপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলী, চন্ডিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামসুল আলম, বিতর্ক সংগঠক মাহমুদুন নবী বাবুল, আমতলা বিদ্যাপীঠ অ্যান্ড কলেজের সভাপতি আলমগীর হোসেন। আমতলা বিদ্যাপীঠ অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্র্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা।