কক্সবাজার অফিস
প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:০০ পিএম
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ হয়ে সমুদ্র উপভোগ করার সুযোগ নিয়ে আসছে এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস। এই জাহাজে করে পর্যটকরা সমুদ্রপথে যাত্রা করবেন প্রবাল দ্বীপের সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে। বিকালে ফেরার সময় উপভোগ করতে পারবেন সূর্যাস্তের দৃশ্য। এই জাহাজে করে পর্যটকরা তাদের সেন্টমার্টিন যাত্রা ভিন্নরূপে উপভোগ করতে পারবেন বলে মনে করছেন কক্সবাজার পর্যটন শিল্প সমিতির সভাপতি বেলাল আবেদিন ভুট্টো।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ইনানী সৈকত থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সাগরপথে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে, যার মধ্য দিয়ে কক্সবাজার পর্যটন শিল্পের নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হবে।
বেলাল আবেদিন ভুট্টো বলেন, কর্ণফুলী এক্সপ্রেসের নতুন রুট চালুর মধ্য দিয়ে পর্যটকরা মেরিন ড্রাইভ সৌন্দর্য উপভোগের পাশাপাশি ঝামেলামুক্তভাবে স্বল্প সময়ে সেন্টমার্টিন যাওয়া-আসা করতে পারবেন।
এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়ার বাঁকখালী নদীর ঘাটের পরিবর্তে ইনানীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জেটি থেকে চলাচলের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে। জাহাজটির কক্সবাজার ইনচার্জ হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, প্রতিবছর টেকনাফ-সেন্টমার্টিন, চট্টগ্রাম-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন জাহাজ চলাচল করে আসছে। এর মধ্যে ‘এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস’ শহরের বাঁকখালী নদীর ঘাট থেকে চলাচল করলেও এ বছর তা শুরু করা যায়নি। ইতোমধ্যে সব ধরনের অনুমতি গ্রহণ করে এই জাহাজ ইনানীর নৌবাহিনী জেটি থেকে সাগরপথে সেন্টমার্টিনে চলাচল করতে যাচ্ছে। যার মধ্যে দিয়ে পর্যটনের নতুন একটি দ্বার উন্মোচন হচ্ছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৯টায় জাহাজটি প্রথমবারের মতো ইনানী থেকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হবে। প্রথম দিন জাহাজটিতে পর্যটক থাকবে না। জাহাজসংশ্লিষ্ট ও প্রশাসনিক লোকজন যারা জাহাজ যাত্রা নিরাপদ কি না দেখেন, গণমাধ্যমকর্মী ও পর্যটনসংশ্লিষ্টরা থাকবেন। এটি দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে। দ্বীপ থেকে এটি বিকাল ৩টায় ফিরবে এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ইনানী জেটিতে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, জাহাজটি ৭৫০ জন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন। একই সময় প্রতিদিন যাত্রা করার সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জাহাজটিতে দ্বীপে আসা ও যাওয়ার ক্ষেত্রে টিকিট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা।
২০২২ সালের ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক নৌ মহড়া প্রদর্শনের জন্য ইনানী সৈকতে নৌবাহিনী এই জেটি নির্মাণ করে। আন্তর্জাতিক মহড়ায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমুদ্র নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অধীনে ইনানীর এই জেটিটি পরিচালিত হয়ে আসছে।