শেরপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৭ পিএম
শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে নানা কর্মসুচি পালিত হয়। প্রবা ফটো
গারো পাহাড়ে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উযাপতি হচ্ছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শুভ বড় দিন। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে শেরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে নানা কর্মসুচি পালিত হয়। এর আগে রাত ১২টা এক মিনিটে প্রার্থনার মধ্য দিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড় দিন শুরু হয়।
খ্রিষ্ট ভক্তদের তথ্যমতে, বারুয়ামারীর সাধু জর্জের ধর্মপল্লি, মরিয়ম নগরসহ ১৮টি, শেরপুর সদরে ৭টি, নালিতাবাড়ীতে ৭টি, নকলায় ৩টি , শ্রীবরদীতে ৯টিসহ মোট ৪৪টি স্থানে প্রার্থনা, আলোচনা সভা ও কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বারমারী সাধু লিওর খ্রিষ্টধর্ম পল্লিতে সোমবার সকালে গীর্জায় মহাখ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করা হয়। এবার খ্রিষ্টযাগ উৎসর্গ করেন ধর্মপল্লির পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারী ও রেভারেন্ড ফাদার প্রদীপ ম্রং।
সকাল থেকেই সম্প্রদায়টির শিশু-নারী ও পুরুষেরা সমবেত প্রার্থনায় মিলিত হয়ে আগামি দিনের শান্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করে। প্রার্থনায় আত্মশুদ্ধির মধ্য দিয়ে নতুন বছরের সুখ শান্তির প্রত্যাশা করেন সবাই।
সকালে বড় দিনের কেক কাটেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম। এসময় বিভিন্ন গ্রামের খ্রিষ্টভক্তদের অংশগ্রহণে সংকীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাড়ি-বাড়ি চলে প্রীতি ও সামাজিকভোজ।
সংকীর্তন অনুষ্ঠানে পালপুরোহিত রেভারেন্ড ফাদার তরুণ বনোয়ারীর সভাপতিত্বে মুঠোফোনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ও বড় দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য, সংসদ উপনেতা ও স্থানীয় এমপি বেগম মতিয়া চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শেরপুরের পুলিশ সুপার মোনালিসা বেগম পিপিএম, নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল, নালিতাবাড়ী সার্কেল এসপি দিদারুল আলম, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল আলম ভুঁইয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজ কুরুনী, নালিতাবাড়ী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি গোপাল চন্দ্র সরকার, ট্রাইবাল চেয়ারম্যান মি. কোপেন্দ্র নকরেক, বারমারী প্যারিস কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট সুচিত্রা চিছাম প্রমুুখ।
এদিকে, বড় দিন উদযাপন উপলক্ষে বারমারী মিশন এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এসময় পুলিশ, র্যা, বিজিবি ও গ্রাম পুলিশরা টহল দেন।