ষড়যন্ত্র-অপশক্তিকে হারিয়ে নৌকাকে বিজয়ী করব : রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম

সব ষড়যন্ত্র ও অপশক্তিকে মোকাবিলা করে নৌকার প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন দেশের বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি কোনো ভয় করি না। সত্যের সঙ্গে রয়েছি, আর সত্যের সঙ্গে থেকেই কাজ করব। আজকে কিছু লুটেরা রূপগঞ্জকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য নৌকার বিরোধিতা করছে। আপনারা সাবধান হয়ে যান, এ স্বপ্ন আপনাদের পূরণ হবে না। জনগণ উন্নয়ন ও শান্তির ধারায় বিশ্বাস করে। আর সেই ধারা অব্যাহত রাখতে সব ষড়যন্ত্র ও অপশক্তির মোকাবিলা করে নৌকাকে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব, ইনশাল্লাহ।’ 

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বড়াল ও পাড়াগাঁওয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প উদ্বোধন এবং বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ ও পথসভা করে তিনি এসব কথা বলেন।

রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি গাজী সাহেবকে (বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম দস্তগীর গাজী) বলেছি, আমি রাজনীতিও করব না, আমার এমপি হওয়ারও দরকার নেই। আমি আপনার সহযোগিতায় রূপগঞ্জের মেহনতি ও সাধারণ মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতা করে যেতে চাই। সেই সুযোগ আমাকে করে দেবেন। তখনোই আমার জয় হবে, জয় হবে কায়েতপাড়াসহ রূপগঞ্জবাসীর।’

আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আজকে আপনারা উপস্থিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য। আপনারা যে যার দায়িত্বে থেকে কায়েতপাড়ার সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানাবেন এবং নৌকা মার্কাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। আর তিনি বিজয়ী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও তাকে মন্ত্রিত্ব দেবেন, ইনশাল্লাহ।’ 

নৌকার বিপক্ষের প্রার্থীকে কে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে তা সবাই জানে বলেও মন্তব্য করেন আলহাজ রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ’কিছু টাকার জন্য এই ইউনিয়ন, গ্রামকে তুলে দেওয়া যাবে না। আজকে আপনারা জানেন কে বা কারা অর্থ দিয়ে নৌকার বিপক্ষে প্রার্থীকে দাঁড় করিয়ে রেখেছে। কারা সেই অর্থের জোগানদাতা। আর সে যদি এমপি নির্বাচিত হয়, তাহলে আমাদের এলাকার কী অবস্থা হবে? তাই নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আগামী ৭ জানুয়ারি একযোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। বিজয়ী হবেন গাজী সাহেব, দূর হবে ভূমিদস্যুরা।’

কায়েতপাড়ায় রাস্তাঘাটসহ যেসব উন্নয়ন বাকি রয়েছে নির্বাচনের পর তা সম্পন্ন করে দেওয়া হবে বলেও জানান রফিকুল ইসলাম।

গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, ’সারা বাংলাদেশে কী নির্বাচন হচ্ছে, আমি জানি না। তবে রূপগঞ্জে নির্বাচন হচ্ছে স্বাধীনতার প্রতীক বনাম স্বতন্ত্র-ষড়যন্ত্র। আজকে যারা আমাদের প্রতিপক্ষ তারা কিসের জন্য, কী কারণে ভোটের মাঠে নেমেছেন, তা আপনারা ভালো করেই জানেন। আলহাজ রফিক সাহেব আপনাদের সবকিছুই বলেছেন। এমনও প্রার্থী আছেন নির্বাচনী হলফনামায় বলছেন, তার ব্যাংকে টাকা নেই, পকেটে এক টাকাও নেই, স্ত্রীর কোনো গয়না নেই, কোনো কিচ্ছু নেই। তাহলে সে যে নামিদামি গাড়ি নিয়ে ঘুরছে, এগুলো পেল কোত্থেকে? কে এসব জোগান দিচ্ছে। টাকার উৎস কোথায়, এসব আমার জানতে ইচ্ছে করে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দোষ খোঁজার জন্য তারা শুধু নালিশ করে। তারা তো আর কিছু পায় না। জনগণকে কাছে না পেলে কী করবে? আমাদের এত দোষ না দিয়ে মিডিয়াতে লাফালাফি না করে জনগণের কাছে আসেন। আমরা এ মাটির সঙ্গে আছি আপনাদের সঙ্গে আছি। গাজী সাহেব, রফিক সাহেবসহ আমরা দরজা খুলে বসে থাকি আপনার সুখ-দুঃখ শোনার জন্য।’ 

উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পাপ্পা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা, গাজী সাহেবের উন্নয়নের কথা জনগণের কাছে তুলে ধরবেন। এবার ভোটে মনে রাখবেন, আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র রয়েছে। তাই সকাল সকাল উঠে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আপনারা পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়স্বজন সবাইকে ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানাবেন।’ 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আলহাজ শফিকুল ইসলাম, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়াল, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক করিম পাঠান, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম রেজা, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাফ হোসেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন মেম্বার, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগের সাবেক সভাপতি জোসনা মহিউদ্দিন, কায়েতপাড়া ১নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য ওমর ফারুক, মানিক মিয়া, যুবলীগ নেতা বিল্লাল হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য নূর মোহাম্মদ, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী মহিলা লীগ নেত্রী স্বপ্না আক্তার, তারাবো পৌরসভা আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিনা আকতারসহ অনেকে।