চুয়াডাঙ্গা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:২৮ পিএম
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। প্রবা ফটো
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকের এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার ড. কিসিঞ্জার চাকমা, পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ঘটনার পর ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। চুয়াডাঙ্গা শহরসহ শংকচন্দ্র ইউনিয়ন ও পার্শ্ববর্তী কুতুবপুর ইউনিয়ন জুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন ভান্ডারদহ গ্রামে পুলিশের বেশ কয়েকটি টিম জোর টহলে আছে।
স্থানীয় লোকজন ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার শেষে ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করতে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে গাড়িবহর নিয়ে নতুন ভান্ডারদহ এলাকায় যাচ্ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার। তবে নির্বাচনী অফিসে পৌঁছানোর আগেই তার গাড়িবহর গতিরোধ করা হয়। গাড়ি আটকে গালাগাল করেন নৌকার সমর্থকরা। পরে দিলীপ কুমার গাড়ি থেকে নামলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন।
কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হাসানুজ্জামান মানিক, ভান্ডারদহ গ্রামের ফারুক হোসেন, সুমন ও শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের যুগিরহুদা গ্রামের হাফিজুর রহমানকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ও নির্বাচনী কর্মী নাজনীন আক্তার, রাকিব, সালমান ও আফিলসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।
ভান্ডারদহ গ্রামের আবু ছদ্দি বলেন, ‘আমরা ঈগলের অফিসে বসেছিলাম, আমাদের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগারওয়ালা আসবেন। কিন্তু পরিকল্পিতভাবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন আমাদের অফিসের সামনে এসে উল্টাপাল্টা স্লোগান দিতে থাকে। এর মধ্যে আমাদের নেতা আসার সঙ্গে সঙ্গেই তারা হামলা চালায়।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন বলেন, ‘হামলার সময় নারীদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালানো হয়। নারী কর্মীদের ওপর হামলার সময় গালাগাল করেন হাসানুজ্জামান মানিকসহ তার লোকজন। এসময় বেশ কয়েকটি রিকশা ভ্যান ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।’
ঈগল প্রতীকের প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা অভিযোগ করে বলেন, ‘আধা ঘণ্টা ধরে গাড়ি আটকে আমার নামের বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেওয়া হচ্ছিল। আমি গাড়ি থেকে নামলে তারা মারমুখী আচরণ করে। পরে পুলিশকে খবর দিই। প্রশাসনের কর্মকর্তারা পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। নির্বাচনের মাঠে নিরপেক্ষতা না থাকলে আমি মাঠে থাকব না।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশের একাধিক দল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রাতে দিলীপ কুমার থানায় উপস্থিত হয়ে মামলা করেন।