নোয়াখালী-১
নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪২ পিএম
খন্দকার রুহুল আমিন। প্রবা ফটো
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক তথা বিদেশি নাগরিকত্বের তথ্য গোপন করে নোয়াখালী-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন খন্দকার রুহুল আমিন। এমন অভিযোগ করে গত ১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন শফিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তি।
ওই পিটিশন অনুযায়ী স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্ব সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের জন্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ২৬৮ নোয়াখালী-১ সংসদীয় আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জনাব খন্দকার আর আমিন একজন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মর্মে অভিযোগ করেন মো. শফিকুর রহমান। এ সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে আবেদন করেন। উক্ত আবেদনের প্রেক্ষিতে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগ উক্ত রিট পিটিশনে বর্ণিত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আর আমিনের দ্বৈত নাগরিকত্ব (যুক্তরাষ্ট্র) সংক্রান্ত অভিযোগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখের পূর্বে মাননীয় হাইকোর্ট বিভাগে জমা দেওয়ার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশনা দিয়েছেন।
সেই রিট পিটিশনের নির্দেশনা অনুসারে তদন্ত কার্যক্রম শেষ করার জন্য শনিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে অভিযোগকারী শফিকুর রহমান এবং অভিযুক্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার রুহুল আমিনকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট ব্যবহার করে খন্দকার রুহুল আমিন গত ২৮ মার্চ সিঙ্গাপুরে যান। বিষয়টি নজরে আসায় তদন্তের নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট। নির্বাচন কমিশনও ইমিগ্রেশন রিপোর্ট খতিয়ে দেখছে।
নোয়াখালী-১ (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এইচ এম ইব্রাহিম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী খন্দকার আর আমিন (ঈগল), গণফ্রন্টের মো. খোরশেদ আলম (মাছ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) মো. হারুন-অর-রশিদ (মশাল), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মো. শাহ আলম (চেয়ার), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মো. মমিনুল ইসলাম (মোমবাতি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের একেএম সেলিম ভূঁইয়া (ফুলের মালা) ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু নাছের ওবায়েদ ফারুক (ডাব) প্রতীক পেয়েছেন। আসনটিতে মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ১২৯টি এবং মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৩৭৫ জন।