রেজাউল করিম, গাজীপুর
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০৭ পিএম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৩৪ পিএম
একটি কলার ছড়ি লম্বায় সাত ফুট। আর এতে কলার সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। অবাক করার বিষয় কলাগাছটি রয়েছে গাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার লতিফপুর এলাকায় মনপুরা বিনোদন পার্কে।
কলার ওজনে যাতে গাছটি হেলে না পড়ে সেজন্য দুটি বাঁশ দিয়ে ঠেক দেওয়া হয়েছে। আর এই কলাগাছ দেখতে প্রতিদিন উৎসুক মানুষ ভিড় করছে মনপুরা পার্কে। যার একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, বছর দুয়েক আগে মনপুরা পার্কে ঘুরতে এসে এক দর্শনার্থী কলার চারাটি উপহার হিসেবে দিয়ে যায়। পরে চারাটি পার্কের ভেতরেই রোপণ করা হয়। ধীরে ধীরে চারাটি বড় হতে থাকে। ৬ মাস আগে গাছটিতে কলার ছড়ি বের হয়। ছড়িটিও বড় হতে থাকে। সবাইকে চমকে দিয়ে, বড় হতে হতে কলার ছড়িটি প্রায় ৭ ফুট লম্বা হয়ে মাটি ছুঁয়ে গিয়েছে। ছড়িতে কলা আছে আড়াই থেকে তিন হাজারের মতো। তবে ছড়ির উপরের অংশের কিছু কলা খাওয়ার উপযোগী। নিচের কলাগুলো এতই ছোট, যা খাওয়া যাবে না।
এদিকে কলার ছড়ির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে প্রতিদিনই কয়েকশ দর্শনার্থী আসছেন দেখার জন্য। কেউ ছবি তুলছেন, কেউবা করছেন ভিডিও। কলার ছড়িটি যাতে নষ্ট না হয়, এজন্য পার্কের পক্ষ থেকে লেখা আছে সর্তকবাণী। রয়েছে জরিমানার বিধানও। এ ছাড়াও সিসি ক্যামেরা দিয়েও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে অদ্ভুত দশর্ন এই কলাগাছকে।
রাজিব নামে এক দর্শনার্থী বলেন, লম্বা কলার ছড়ির কথা শুনে গাছটি দেখতে এসেছি। উপরের দিকের কলাগুলো একটু বড়। কয়েকটি কলা পেকে গেছে। আর নিচের দিকের কলাগুলো খুবই ছোট। এত বড় কলার ছড়ি জীবনেও দেখিনি। আমার মতো অনেকেই গাছটি দেখতে এখানে এসেছে।
মনপুরা পার্কের ব্যবস্থাপক জায়েদ হাসান বলেন, দুই বছর আগে এক দর্শনার্থী পার্কে ঘুরতে এসেছিল। তিনি আমাদের মালিককে কলাগাছটি উপহার হিসেবে দিয়ে যান। কলা চারাটি পার্কের ভেতরেই রোপণ করা হয়। চারাটির যত্ন নেওয়া হয়নি। এমনিতেই বড় হয়। গাছটিতে কলাও ধরে। এবারই প্রথম গাছের কলার ছড়িও এত বড় হয়েছে। তবে কলাগাছের ছড়িটি যখন বেশি বড় হয়ে যায় তখন থেকে গাছটির যত্ন নেওয়া হয়। এটি হাজারীকা জাতের কলাগাছ। কলার ছড়ি দেখতে অনেকেই দূরদূরান্ত থেকে পার্কে আসছে।
গাজীপুর সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিবুল হাসান জানান, কলার ছড়িটা দেখে পার্কে গিয়েছিলাম। ছড়িতে প্রায় কয়েক হাজার কলা রয়েছে। যা অবাক করার মতোই ঘটনা। ওপরের কলাগুলো খাওয়ার উপযোগী হলেও নিচের কলাগুলো খাওয়া যাবে না।