ফেনী-৩ আসনে লাঙ্গলের সমর্থনে আ.লীগের সভা

ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনে যৌথ সভা করেছে আওয়ামী লীগ।বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দাগনভূঞা ও সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সোনাগাজীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সভা হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও দাগনভূঞা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও জায়লস্কর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন প্রমুখ।

দাগনভূঞা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাস্টার কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন মামুন যৌথসভা সঞ্চালনা করেন। এ সময় দাগনভূঞা পৌরসভার মেয়র ওমর ফারুকসহ স্থানীয় ৮টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, কোনো প্রতীকের দিকে না তাকিয়ে শুধুমাত্র শেখ হাসিনাকে পুনরায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করতে সব ভেদাভেদ ভুলে মাসুদ চৌধুরীর লাঙ্গল প্রতীককে জিতিয়ে আনতে কাজ করতে হবে।

নিজাম উদ্দিন হাজারী বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সমর্থনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুতরাং আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করা। প্রধানমন্ত্রী যদি রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকে, ফেনীর তিনটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এমপি নির্বাচিত হলেও আমাদের কোনো লাভ হবে না। তাই শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রাখতে ফেনী-৩ আসনটিতে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।

ফেনী-৩ আসনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মো. আবুল বাশারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল। পরে দলীয় সভাপতির নির্দেশে লাঙ্গলের প্রার্থী মাসুদ চৌধুরীর সমর্থনে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। এ আসনটি থেকে এবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও সাবেক এমপি রহিম উল্যাহ, এ কে আজাদ, জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা রিন্টু আনোয়ার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।