রাজশাহী অফিস
প্রকাশ : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:২৪ পিএম
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৬ পিএম
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা। প্রবা ফটো
রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ রাজশাহী মহানগরের উদ্যোগে কুমারপাড়ার দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
বিজয় শোভাযাত্রার সম্মুখে ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এর পর বড় আকৃতির জাতীয় পতাকা ও আওয়ামী লীগের দলীয় পতাকা। শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে হাতে ছিল জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং লাল-সবুজ বেলুন। শোভাযাত্রায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও দেশাত্মবোধক গান প্রচার করা হয়। শোভাযাত্রায় দেশের ও রাজশাহীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হয়।
বিজয় শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘নির্বাচন আসলে যারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়, নির্বাচনকে বিতর্কিত করতে চায়, নির্বাচনে জনগণের রায়ের মুখোমুখি হতে ভয় পায়, সেই বিএনপি-জামায়াত আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ২০১৪/২০১৮ সালের মতো এবারও ষড়যন্ত্র করছে, আগুনসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করছে। লন্ডনে বসে তারেক জিয়া যেভাবে পুতুলের মতো নাচাচ্ছে, দেশে বসে মির্জা ফখরুলগংরা সেভাবে নাচছে। ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের আগে দেশের পরিস্থিতি ঘোলা করার, দেশকে অচল করে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদের অপচেষ্টা কোনো দিন সফল হবে না। আমরা সফল হতে দেব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাতিসংঘ কেন আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক লগাতে পারল? এই পরিস্থিতি কে ডেকে এনেছে? মীরজাফরের মতো বিএনপি এই পরিস্থিতি ডেকে নিয়ে এসেছে। এতে আমরা বিরক্ত হয়েছি। আমরা দেখেছি, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নানা জায়গায় গেছেন, নানা বক্তৃতা দিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করল। শেখ হাসিনা নির্বাচনে গেলেন। তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল ও প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে গেল। এখন কিন্তু পিটার হাস আর কোনো কথা বলছেন না, চুপ করে আছেন। যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি বোয়িং বিমান বাংলাদেশ কিনবে কি না, সেটি নিয়ে তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই থাকেন। আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না।
রাসিক মেয়র বলেন, নৌকা মানে উন্নয়ন, নৌকা মানেই মানুষের কল্যাণ। তাই আগামী নির্বাচনে জনগণ নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করবেন। আর দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘বিএনপি কখনও মানুষের কল্যাণ চায়নি, আগামীতেও চাইবে না। কথায় আছে চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। তাই বিএনপিকে ধর্মের কাহিনী শুনিয়ে লাভ নাই। যারা আগুনসন্ত্রাস করবে, তাদেরকে প্রতিহত করা হবে।’
মেয়র আরও বলেন, ‘রাজশাহীর উন্নয়ন সারা দেশে প্রশংসিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আরও উন্নয়ন করা হবে। আমি আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে বলেছিলাম, কর্মের ক্ষেত্র তৈরি করে দেব। আমি কিন্তু সেটি ভুলি নাই। সংসদ নির্বাচনের পর কর্মের ব্যাপারে একটার পর একটা ক্ষেত্র উন্মোচিত হবে।’
সমাবেশে রাজশাহী মহানগরের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহ্সানুল হক পিন্টুর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সহসভাপতি ডা. তবিবুর রহমান শেখ, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা, নগর শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক আকতার আলী, নগর ছাত্রলীগ সভাপতি নূর মোহাম্মদ সিয়াম প্রমুখ।