শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে : রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান

দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে বিজয়ের মাসে আজকে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি। আজ তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার মার্কা নৌকায় ভোট চাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। উন্নয়নের এধারা অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে। দেশে উন্নয়ন ও শান্তির জন্য আওয়ামী লীগের বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের এবং জনসমর্থনে এগিয়ে রয়েছেন বিধায় আজকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দিয়েছেন। কারণ প্রধানমন্ত্রী জানেন রূপগঞ্জের উন্নয়নের জন্য গাজী সাহেবকে দরকার। আপনারা দেখেন আজকে প্রথম দিনের প্রচারণা ও মিছিলে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে রূপগঞ্জের ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

গোলাম দস্তগীর গাজীকে প্রধানমন্ত্রীর কর্মবীর উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যারা লুটেপুটে খেতে চায় তাদেরকে প্রধানমন্ত্রী নৌকা দেননি। বৈশ্বিক ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়েও ষড়যন্ত্র চলছে। যারা বিগত ১৫ বছরে রূপগঞ্জে লুটেপুটে খেয়েছেন তারাই আজকে নৌকার বিরোধিতা করছেন। বিগত সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে যেভাবে গোলাম দস্তগীর গাজী কাজ করেছেন, ভবিষ্যতে এর চেয়ে দ্বিগুণ কাজ করবেন। তার নেতৃত্বে আগামীতে রূপগঞ্জকে একটি মডেল রূপগঞ্জ হিসেবে আমরা উপহার দেব। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি সকালেই আপনারা ভোটকেন্দ্রে এসে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজীকে বিজয়ী করবেন। আমরা রূপগঞ্জ থেকে নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেব। 

পথসভায় গাজী গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মর্তুজা পাপ্পা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনমত দেখেই এবং গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেবকে পছন্দ করেই নৌকা প্রতীক দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী জানেন রূপগঞ্জে গাজী সাহেবের কাছে জনগণ নিরাপদ। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনারা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবেন। নৌকা প্রতীক নির্বাচিত হলে ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষ শান্তিতে বসবাস করে, এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। তাই দল-মত নির্বিশেষে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী সাহেবকে আবারও সংসদে পাঠিয়ে উন্নয়ন বুঝে নেবেন।

রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আজকে যারা আওয়ামী লীগ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আওয়ামী লীগেরই বিরোধিতা করছেন তারা কীভাবে আশা করেন রূপগঞ্জের জনগণ আপনাদের ভোট দেবে। বিগত সময়ে করোনা মহামারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন দুর্যোগ সময়ে আপনারা কতটুকু সহযোগিতা মানুষকে করেছেন। গাজী গ্রুপ ও রংধনু গ্রুপ খাদ্য, বস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতাসহ নানাভাবে দরিদ্র-অসহায় ও সাধারণ মানুষকে সহযোগিতা করেছে এবং অব্যাহত রেখেছে। আজকে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে নানা রকম অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন- এতে কোনো কাজ হবে না। কারণ রূপগঞ্জের মানুষ জানে রূপগঞ্জের উন্নয়ন ও শান্তির লক্ষ্যে গাজী সাহেবকেই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে হবে। যারা উন্নয়নের পক্ষে পরীক্ষিত তাদের পক্ষেই রায় দেবে ভোলাববাসী।

ভোলাব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান আশাকরীর সঞ্চালনায় ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা তাবিবুর কাদির তমাল, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আউয়ালসহ অনেকে। পথসভা ও মিছিলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন যুবলীগ নেতা মো. মাসুম মিয়া।

পথসভা শেষে আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম এবং গোলাম মর্তুজার নেতৃত্বে নৌকায় ভোট চেয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে লিফলেট বিতরণ করেন নেতৃবৃন্দ। পরবর্তী সময়ে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তারা। 

অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাতটি ইউনিয়ন, দুটি পৌরসভা ও একটি সাংগঠনিক ইউনিয়নের শতাধিক স্পটে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা একযোগে পথসভা, প্রচারণা ও মিছিল করেছেন। একসঙ্গে শতাধিক স্পটে নৌকার পক্ষে পথসভা, প্রচারণা ও মিছিলে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়। 

গতকাল ভুলতা ইউনিয়ন, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন, মুড়াপাড়া ইউনিয়ন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন, ভোলাব ইউনিয়ন, রূপগঞ্জ ইউনিয়ন, দাউদপুর ইউনিয়ন, তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা ও সাংগঠনিক ইউনিয়ন চনপাড়া শেখ রাসেলনগর ইউনিয়নের শতাধিক ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানো হয়। 

রূপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ জানান, নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে নৌকার প্রার্থী পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীকে (বীরপ্রতীক) বিজয়ী করতে শতাধিক স্পটে একযোগে প্রচারণা ও মিছিলে গণজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। প্রচারণা ও মিছিলে প্রতিটি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।