রংপুর অফিস
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৬ পিএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৬ পিএম
রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রবা ফটো
অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে জনগণের আস্থা অর্জন করা গেলে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি, যেটা সত্য সেটিই প্রকাশ করতে হবে। ভেতরে সত্যিকার অর্থে উত্তম হয় কিংবা মন্দ হয় তা বলবেন। এখানে কোনো রাখঢাকের প্রয়োজন নেই। অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিয়ে জনগণের আস্থা এলে সংকট থেকে উত্তীর্ণ হওয়া সম্ভব।’
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘আমি বলেছি, নির্বাচনে মিডিয়াকে কোথাও বাধা দেওয়া যাবে না। মিডিয়া যে ছবি তুলবে, বক্তব্য নেবে, তা দেশব্যাপী প্রচার হবে। জনগণ দেখতে পারবে, ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে বেরিয়ে এসে বলছে, অত্যন্ত নিরাপদে সুন্দরভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছি। তাহলে আমাদের নির্বাচন ক্রেডিবল হবে। আর যদি কেউ ভোটকেন্দ্রে এসে বলে ভোট দিতে পারিনি, তাহলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি, এ নির্বাচনে কোনো ভোটকক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না। কারণ একসঙ্গে তিনশ আসনের ৪ লাখ কেন্দ্রে ক্যামেরা দিয়ে ভোট পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব নয়। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রকার পেশিশক্তির ব্যবহার থাকবে না বলেও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ’কোনো জোর-জবরদস্তি থাকবে না। ভোটাররা সুন্দরভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আজ রংপুর বিভাগের আট জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে মতবিনিময় করলাম। আমি নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট বার্তা দিয়েছি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে আসতে পারছে, ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারছে, এটি যেকোনো প্রকারে নিশ্চিত করতে হবে। কোনোভাবেই কোনো ভোটারকে ভোট প্রদানে বাধা দেওয়া যাবে না। এটি যদি করা হয়, তাহলে নির্বাচন ক্রেডিবল হবে না।’
নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার কাজ হলো নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। প্রতি আসনে চার থেকে ছয়জন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এতে করে বোঝা যাচ্ছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাইরে আমার কোনো দায়িত্ব নেই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাংগীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলার ছয়টি সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।