বেনাপোল প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৫ পিএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৩৯ পিএম
বেনাপোলে ফাতেমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। প্রবা ফটো
বেনাপোলের আমড়াখালী (কাগমারী) গ্রামে ফাতেমা খাতুন (২২) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। নিহতের পরপরই তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানার পোড়াবাড়ি নারায়ণপুর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের মেয়ে ফাতেমা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে। জানা গেছে, যৌতুকের জন্য স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি ও পরিবারের সদস্যরা মিলে ফাতেমার গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যার খবর রটনা করে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে ফাতেমার মরদেহকে ঝুলিয়ে দেয় তারা। স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
নিহতের বাবা শাহাবউদ্দিন থেকে জানা যায়, ৪ বছর আগে একই থানার আমড়াখালী (কাগমারী) গ্রামের সালাহউদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় ফাতেমার। সালাহউদ্দিন পেশায় একজন ট্রাক ড্রাইভার। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য ফাতেমার ওপর নির্যাতন করত স্বামীসহ পরিবারের লোকজন। এরপর সর্বস্ব বিক্রি করে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা দিয়ে জামাই সালাহউদ্দিনকে একটি কাভার্ড ভ্যান কিনে দেন শাহাবউদ্দিন। এরপর আরও যৌতুকের জন্য ফাতেমাকে নির্যাতন চালিয়ে যায় ওই বাড়ির লোকজন। এ নিয়ে অনেকবার সালিশ বৈঠক করে সালাহউদ্দিনকে সতর্ক করা হয়।
সবশেষ সোমবার রাতে সালাহউদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা টাকার জন্য ফাতেমার ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। নির্যাতনের একপর্যায়ে ফাতেমা মারা গেলে তার গলায় ফাঁস দিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে তারা। শ্বশুর জুলহাস, শাশুড়ি ছালেহা, দেবর সালমান হোসেন, তার স্ত্রীসহ অন্যান্যরা বাড়ির গরু-ছাগলসহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে গেছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুমন ভক্ত জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আমড়াখালী (কাগমারী) থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাড়ির পলাতক সদস্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।