গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৫ এএম
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৮ এএম
দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী-নগরবাড়ী নৌপথে নাব্য সংকটে আটকা পড়েছে ১০টি মালবোঝাই জাহাজ। প্রবা ফটো
দৌলতদিয়া-নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌপথ দিয়ে নিয়মিত চলাচল করে পণ্যবাহী বহু কোস্টার জাহাজ। নদীর পানি কমে যাওয়ায় পদ্মা ও যমুনার বুকে ছোটবড় অনেক চর জেগে উঠেছে। চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে ডুবোচরের পাশাপাশি সৃষ্টি হয়েছে নাব্য সংকট। পানির গভীরতা না থাকায় চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে আসা মালবোঝাই জাহাজগুলো সরাসরি নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী বন্দরে যেতে পারছে না। গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় সেগুলো আটকা পড়ে থাকছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) আটকা পড়েছে কয়লা, ক্লিংকার সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল, সার বোঝাই ১০টি জাহাজ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ৬ নম্বর ফেরিঘাট এলাকায় পদ্মায় নোঙর করে আছে এমভি গ্লোরি অব জয়া, এমভি শেখ এন্টারপ্রাইজ, এমভি জারফার, এমভি বন্ধন-৩, এমভি গোলাপ-৬, এমভি হোসনে আরা-৩, এমভি মোনাজাত, এমভি আবদুল কাদের, এমভি আল-যামী ও এমভি সাহারা-২৩ নামে ১০টি জাহাজ।
সেখানে শতাধিক শ্রমিক বিভিন্ন জাহাজ থেকে কয়লা, ক্লিংকার সিমেন্ট তৈরির কাঁচামাল ও সার নামিয়ে বোলগেটে বোঝাই করছে। বোঝাইয়ের পর বোলগেটগুলো সেখান থেকে পাবনার নগরবাড়ী ও সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী নৌবন্দর অভিমুখে দ্রুত ছেড়ে যাচ্ছে।
এ সময় বিভিন্ন জাহাজের কয়েকজন চালক মাস্টার এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পদ্মা ও যমুনার পানি কমে দৌলতদিয়া-নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌপথে অসংখ্য ডুবোচর ও নাব্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে নৌ চ্যানেলের মোল্লার চর, ব্যাটারির চর, কানাইদিয়া, লতিফপুর, নাকালিয়া ও পেঁচাখোলায় নাব্য সংকট সবচেয়ে বেশি। পানির গভীরতা না থাকায় সেখানে ১০ থেকে ১৩ ড্রাফটের মালবোঝাই কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারছে না।
এদিকে মালামাল নামানোর কাজে কর্তব্যরত সিরিয়াল মাস্টার মো. মনিরুদ্দিন সরদার বলেন, ‘ড্রাফট কমাতে জাহাজ থেকে মালামাল নামিয়ে বোলগেটে করে নগরবাড়ী ও বাঘাবাড়ী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে সংশ্লিষ্ট মালের মালিকপক্ষকে বোলগেট ভাড়া ও লেবার খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা গচ্চা দিতে হচ্ছে।’ জাহাজ চলাচলে দৌলতদিয়া-নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌপথ চ্যানেল সচল রাখতে সেখানে দ্রুত খননকাজ জরুরি বলে জানান তিনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের যুগ্মপরিচালক (নৌ সংরক্ষণ ও পরিচালক) আজগর আলী বলেন, ‘প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে দৌলতদিয়া-নগরবাড়ী-বাঘাবাড়ী নৌপথ চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে পানির গভীরতা কমে যায়। এতে সেখানে ৮ ড্রাফটের ওপরে পণ্যবোঝাই কোনো জাহাজ চলাচল করতে পারে না।’ তবে নাব্য সংকট মোকাবিলায় বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগ খননকাজের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে বলে তিনি জানান।