ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫০ পিএম
ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজারে মফিজুলের ভাসমান চায়ের দোকান। প্রবা ফটো
হালখাতা বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। বছরের পর বছর ঘুরেফিরে আসে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী হালখাতা উৎসবটি। নববর্ষের প্রথম দিনে হালখাতা উৎসব পালনের রেওয়াজ থাকলেও এখন বছরে দুইবার এই উৎসবের আয়োজন করেন দোকানিরা। এক পহেলা বৈশাখে, দুই আমন ধান কাটার পর। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমন ধান কাটার পর বাজারের দোকানে দোকানে শুরু হয়েছে হালখাতা।
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার সদর বাজারে ধামরাই মিষ্টান্নভান্ডার দোকানের সামনে মফিজুলের ভাসমান চায়ের দোকান। বাজারের অন্যান্য দোকানের মতোই রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) তার চায়ের দোকানও সেজেছে হালখাতার সাজে। দোকানে গিয়ে দেখা যায় কেউ চা পান করছে। কেউ আবার বকেয়া পরিশোধ করে মিষ্টি খাচ্ছে।
১০ বছর ধরে চায়ের দোকানে হালখাতা করে আসছেন মফিজুল। চা বিক্রি করে মাসে আয় করেন ৪০ হাজার টাকা। দিন দিন বাড়ছে বকেয়ার পরিমাণ। এবারের হালখাতায় বাকি লাখ টাকা।
চা পান করতে আসা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বন্ধু এবং পরিচিতজনদের নিয়ে আমি এখানে চা খেতে আসি। এ দোকানের চায়ের গুণগত মান বেশ ভালো, খেয়ে সবাই তৃপ্তি পাই।’
বাজারের ব্যবসায়ী তিলক সরকার বলেন, মফিজুলের ভাসমান চায়ের দোকানের হালখাতা ভালোই লাগল। এ রকম ভাসমান চায়ের দোকানের হালখাতা কখনও নজরে পড়েনি। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এই চায়ের দোকানে লোকজনের সরব উপস্থিতি থাকে। বেচাকেনাও বেশ ভালো।
মফিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি প্রায় এক যুগ ধরে এখানে চা বিক্রি করে আসছি। আমার দোকানে প্রতিদিন অসংখ্য লোক চা খেতে আসে। তাদের অনেকেই নগদে বিল পরিশোধ করলেও অনেকে বাকি করেন। নিয়মিত-অনিয়মিত বাকির খদ্দেরের এসব বাকি টাকা আদায়ের জন্য প্রতিবছর হালখাতা করে থাকি। হালখাতা এলে তারা একসঙ্গে টাকা দেন। এই দোকানের আয়ের ওপরই আমার পরিবারের ৪ সদস্যের ভরণপোষণ নির্ভর করে।’