× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চট্টগ্রামের দুই আসনে সমঝোতা

‘খারাপ লাগলেও’ সিদ্ধান্ত মেনে নিচ্ছেন তারা

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২৭ পিএম

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩৬ পিএম

এমএ সালাম (বাঁয়ে) ও নোমান আল মাহমুদ। প্রবা ফটো

এমএ সালাম (বাঁয়ে) ও নোমান আল মাহমুদ। প্রবা ফটো

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে (জাপা) ছেড়ে দিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়া ২৬টি আসনের মধ্যে দুটি চট্টগ্রামের। এই দুই আসনে দলের পার্থী সরে দাঁড়ানোয় কিছুটা হতাশ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তবে হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিই চূড়ান্ত বলে জানিয়েছেন তারা।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, এবার চট্টগ্রাম-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমএ সালাম। আসনটিতে একসময়ের মহাজোটের শরিক জাপাকে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে আগে থেকে গুঞ্জন ছিল। গত তিন মেয়াদেও এখানে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। এবার আসনটি নিজেদের ঘরে তোলার জন্য মরিয়া ছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্তে জাপার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে সমর্থন জানিয়ে সরে দাঁড়িয়েছেন এমএ সালাম।

এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন নোমান বলেন, সিদ্ধান্তটা আমাদের নেতাকর্মীদের হতাশ করেছে। জাতীয় পার্টির জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করবে না।

তবে হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদুল আলম বলেন, যদিও সবাই মন খারাপ করেছে, তবে নেত্রীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। সালাম ভাইকে ঘিরে সবার প্রত্যাশা ছিল।

এদিকে পাঁচ মাস আগে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ। সাদামাটা জীবনযাপনের জন্য তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে আলোচিত তিনি। এবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত এই আসনটিও জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিয়েছে আওয়ামী লীগ। নোমান আল মাহমুদকে প্রত্যাহার করে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলাইমান আলম শেঠকে সমর্থন দিয়েছে দলটি।

এ প্রসঙ্গে জানতে নোমান আল মাহমুদের ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। রাজনীতিতে নোমান আল মাহমুদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি মিনহাজুল আবেদিন চৌধুরী সায়েম প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, তিনি ত্যাগী নেতা। সেজন্যই নেত্রী তাকে উপনির্বাচনে মনোনয়ন দিয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। এবার সরে দাঁড়াতে হলেও তাকে নিশ্চয়ই নেত্রী ভবিষ্যতে ভিন্নভাবে পুরস্কৃত করবেন। খারাপ লাগলেও প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার মানসিকতা আমাদের আছে।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা