ঠাকুরগাঁও-৩
ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৩ পিএম
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৮ পিএম
আওয়ামী লীগের ইমদাদুল হক ও জাতীয় পার্টির হাফিজ উদ্দিন আহমেদ। প্রবা কোলাজ
তিনটি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত ঠাকুরগাঁও জেলা। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনটি আসনেই এবার প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নৌকার টিকিট পান পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ইমদাদুল হক। এই আসন পীরগঞ্জ-রাণীশংকৈল উপজেলা নিয়ে গঠিত।
২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর দীর্ঘ ২২ বছরেও এই আসনে নিজেদের প্রার্থী দেয়নি আওয়ামী লীগ। এবার ইমদাদুল হককে নৌকা দিলেও শেষ পর্যন্ত আসনটি ছাড়া হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। নিজেদের প্রার্থী তুলে নেওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে আসন পেয়ে আনন্দে রয়েছেন জাতীয় পার্টির সমর্থকরা।
পীরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেওয়ানুল হক বিপ্লব বলেন, ’২৬ নভেম্বর ঘোষিত দলের প্রার্থী তালিকায় ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের প্রার্থী করা হয়েছিল সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইমদাদুল হককে। দীর্ঘদিন পর দলের মনোনীত প্রার্থী পাওয়ায় আমরা নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণসহ একটি আনন্দ মিছিল করেছি। কিন্তু আজকে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, তাতে অনেক নেতাকর্মীর মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। আসনটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। আমরা আশা করেছিলাম এবার মনে হয় আসনটি আমাদের থাকবে।’
আব্দুর রহমান নামে পীরগঞ্জের এক ভোটার বলেন, ’আওয়ামী লীগ মানে উন্নয়ন। ঠাকুরগাঁওয়ের তিনটি আসনের মধ্যে ৩ নম্বর আসনটিতে তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। সব দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এবার আমরা মনে করেছিলাম ইমদাদুল হক আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে আসনের উন্নয়ন হবে। আজকে শুনলাম জাতীয় পার্টিকে নাকি আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এখন দেখি কী উন্নয়ন হয়।’
জাতীয় পার্টি রাণীশংকৈল উপজেলার নেতা সফিকুল ইসলাম বলেন, ’এই আসন লাঙ্গলের। ঠাকুরগাঁও জেলার মধ্যে জাতীয় পার্টির সব থেকে ভোট বেশি এই আসনে। তাই আওয়ামী লীগ আসনটি আমাদের ছেড়ে দিয়েছে। এই আসনের মানুষ ৭ জানুয়ারি উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় পার্টিকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।’
পীরগঞ্জের ভ্যানচালক মকসেদুল ইসলাম বলেন, ’তিন আসনে জাতীয় পার্টির ভোট বেশি। এই আসনে আওয়ামী লীগও আছে অনেক। তবে ভোটার সংখ্যায় জাতীয় পার্টি অনেক এগিয়ে। আর জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হাফিজউদ্দিন অনেক ভালো মানুষ।’
দিদারুল নামের এক ভোটার বলেন, ’অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে ভালো হতো। এই তিন আসনে জাতীয় পার্টির যেমন ভোট আছে তেমন ভোট আছে আওয়ামী লীগেরও। জাতীয় পার্টিকে আসনটি ছেড়ে দেওয়ায় আমরা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হলাম। কারণ আগে জাতীয় পার্টির হাফিজউদ্দিন সংসদ সদস্য থাকলেও তেমন কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি।’
ঠাকুরগাঁও-৩ আসন দুই উপজেলা, দুটি পৌরসভা ও ১৬ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। মোট ভোটার ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৩৯ জন। পুরুষ ১ লাখ ৬৫ হাজার ২৩৫ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৪ জন।