× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সারা দেশে বিনম্র শ্রদ্ধায় বিজয় দিবস উদযাপন

প্রবা প্রতিবেদন

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২৭ পিএম

রংপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ডিসপ্লেতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো

রংপুরে বিজয় দিবস উপলক্ষে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে ডিসপ্লেতে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। প্রবা ফটো

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভাসহ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সারা দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন হয়েছে মহান বিজয় দিবস। আমাদের অফিস, প্রতিবেদক ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর :

চট্টগ্রাম : নগরের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সকাল ৮টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিবসের সূচনা হয়। পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ বিভিন্ন বাহিনী, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ শিশু কিশোর সংগঠন কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এর আগে সূর্যোদয়ের সময় নগরীর নিউমার্কেটের মিউনিসিপ্যাল স্কুল চত্বরে অস্থায়ী শহীদ মিনারে সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানায়। 

রংপুর : সকালে ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নগরীর মডার্ন মোড়ের স্বাধীনতার স্মৃতিস্তম্ভ ‘অর্জন’-এ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি আব্দুল বাতেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোছাদ্দেক হোসেন বাবলুসহ অন্যরা। পরে শেখ রাসেল স্টেডিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের সদস্য কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করে। সন্ধ্যায় আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

রাজশাহী : সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ভবনগুলোয় জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জেলা পুলিশ লাইনসে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৭টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শ্রদ্ধা জানান বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতারা। সকাল ৯টায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। 

বরিশাল : বিজয় দিবসের আয়োজনের মধ্যে ছিল কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষ থেকে নতুন প্রজন্মের হাতে জাতীয় পতাকা হস্তান্তর, নৌ-বাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘শহীদ আখতার উদ্দিন’ প্রদর্শনসহ নানা কর্মসূচি। সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলক ও ত্রিশ গোডাউন বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিভাগীয় কমিশনার মো. শওকত আলী। নগরীর শহীদ স্মৃতি নামফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি, মেয়র আবুল খায়ের আবদুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতসহ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরগণ। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সোহেল চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

সিলেট : সকালে শহীদ মিনার বেদিতে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শহীদ মিনার বাস্তবায়ন পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি), জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও আলোকসজ্জা, পতাকা উত্তোলন, বিজয় র‌্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার মাধ্যমে বিজয় দিবস পালিত হয়।

খুলনা : ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিবসের শুভ সূচনা হয়। পরে নগরীর গল্লামারী শহিদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান মহানগর ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক, ডিআইজি মঈনুল হক, জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকি নেতারা। সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে নগর ভবনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনাসভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

বগুড়া : শুরুতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, প্রেস ক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃত্বে মুক্তির ফুলবাড়ি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৮টায় শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শিশু কিশোরদের সমাবেশ, কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করা হয়। এ ছাড়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে শিশু চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দুপুর ১২টায় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

কিশোরগঞ্জ : জেলা প্রশাসনের অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিল স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, কুচকাওয়াজ, শিশু-কিশোর সমাবেশ, ডিসপ্লে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, শুটিং প্রতিযোগিতা, প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, নারী সমাবেশ, শিশু সমাবেশ, হাসপাতাল-জেলখানা ও এতিমখানায় বিশেষ খাবার পরিবেশন, মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ, আলোচনাসভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সকাল ৮টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম প্রমুখ। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালন করে। 

ফরিদপুর : সকাল ৮টায় শহরের গোয়ালচামট মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতিফলকে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ফরিদপুর পৌরসভাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। পরে শহরের শেখ জামাল স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে জেলা প্রশাসন বনাম ফরিদপুর পৌরসভা একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ লাইনস মাঠে মনোজ্ঞ ‌সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়।

পটুয়াখালী : প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান জেলা প্রশসাসক নুর কুতুবুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সাইদুর রহমান, সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, কানিজ সুলতানা হেলেন, পৌর মেয়র মহিউদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। সকাল সাড়ে ৮টায় পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, কারারক্ষীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠাানের শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। 

টাঙ্গাইল : টাঙ্গাইলের বঙ্গবন্ধু সেতু আঞ্চলিক জাদুঘরে দেশি-বিদেশি প্রায় ৫ হাজার বন্য প্রাণীর প্রদর্শন করা হয়। জাদুঘরের কিউরেটর জুয়েল রানা বলেন, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের আওতাধীন এ জাদুঘরে শিশু-কিশোরদের বিনামূল্যে প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। সকাল থেকে অসংখ্য দর্শনার্থী জাদুঘর পরিদর্শন করে।

মোংলা (বাগেরহাট) : জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের দুটি যুদ্ধজাহাজ। জাহাজ দুটি দেখতে ভিড় জমায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। দর্শনার্থীদের বাহিনীর দায়িত্ব পালনের কলাকৌশল সম্পর্কে অবহিত করেন দায়িত্বরতরা।

আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) : বিকালে বুটের শব্দ আর বিউগলের সুরে মুখর ছিল আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা। চৌকস বিজিবি ও বিএসএফ জওয়ানদের প্যারেডে কিছুক্ষণের জন্য মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে পড়েছিল সীমান্তের শূন্যরেখা। পরে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও মিষ্টি উপহার দেওয়া হয়। উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. শরিফুল ইসলাম মেরাজ, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবির) অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিক হাসান উল্লাহ, ৪২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের অ্যাক্টিং কমান্ডার কেএস নেগি প্রমুখ।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা