টাঙ্গাইল সংবাদদাতা
প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২২ পিএম
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৩১ পিএম
সাপ্তাহিক ও বিজয় দিবসের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছে মানুষ। তাই বাস কাউন্টারে উপচে পড়া ভিড়। শনিবার টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর বাসস্ট্যান্ড। প্রবা ফটো
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বিজয় দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরছেন কর্মজীবী মানুষ। কর্মস্থলে যাওয়ার পথে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। এতে করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা। সরেজমিনে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে ভূঞাপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড চত্বরে বাস কাউন্টারের সাধারণ যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। দুপুর থেকে বাসস্ট্যান্ড চত্বরের কাউন্টারে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বাস শ্রমিক ও সিএনজি শ্রমিকরা ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ যাত্রীদের।
ঢাকার আশুলিয়াগামী পোশাক কর্মী রাশেদা বেগম ও মো. সাদেকুল বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার অবরোধের মধ্যে অনেক কষ্টে বাড়ি আসি। ছুটি শেষে আজ কর্মস্থলে ছুটতে হচ্ছে। কিন্তু বাস কাউন্টারে ১৫০-২০০ টাকার ভাড়া ৩০০ টাকা করে আদায় করছে। মোতালেব মিয়া নামে আরেক যাত্রী জানান, পরিবারের টানে গ্রামে এসেছিলাম, আবার ফিরতে হচ্ছে কর্মস্থলে। বাসে ফিরতে সুবিধা, কিন্তু বাড়তি টাকা নিচ্ছে।
বাস শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মাসের বেশি সময় ধরে হরতাল-অবরোধ চলছে। পরিবহন খাতে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। যাত্রীও মিলছে না। তা ছাড়া জ্বালানি তেলের দামও বৃদ্ধি। তাই নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে কিছুটা বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকরাও যাত্রীদের চাপের কারণে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন। ভূঞাপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত ২৫ টাকার ভাড়া নিচ্ছেন ৫০ টাকা ও গাজীপুরের চন্দ্রা, কোনাবাড়ী পর্যন্ত ভাড়া নিচ্ছেন ৫০০ টাকা। কর্মস্থলে ফেরার জন্য বাধ্য হয়ে ছুটছেন যাত্রীসাধারণও।
জানতে চাইলে উপজেলা বাস-কোচ মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান সুরুজ বলেন, ‘বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়টি জানা নেই। তা ছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুযোগ নেই। বাস মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’