সংবাদ প্রকাশের পর
ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪২ পিএম
আপডেট : ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৩ পিএম
ফেনী সরকারি কলেজে গ্রন্থাগার। প্রবা ফটো
প্রতিদিনের বাংলাদেশে সংবাদ প্রকাশের পর নবরূপে সাজল ফেনী সরকারি কলেজ গ্রন্থাগার। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ‘২২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য গ্রন্থাগারে আসন ১৬’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে নতুন ভবনে গ্রন্থাগারটি স্থানান্তরের উদ্যোগ গ্রহণ করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি নবরূপে ফেনী সরকারি কলেজে গ্রন্থাগারটি উদ্বোধন করা হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব বাংলার অন্যতম শতবছরের প্রাচীন বিদ্যাপীঠ ফেনী সরকারি কলেজের পুরোনো লাল দালানের দ্বিতীয় তলায় ছিল লাইব্রেরিটি। আলোকস্বল্পতা, গাদাগাদি করে রাখা বই, ভুতুড়ে পরিবেশ ও আসনসংকটের কারণে পাঠক আকর্ষণ করতে পারেনি এ লাইব্রেরি। সম্প্রতি কলেজের কমিশনার জয়নাল আবদীন ভবনের নিচতলায় স্থানান্তরের পর লাইব্রেরির চেহারাই বদলে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোক্তার হোসেইনের উদ্যোগে কমিশনার জয়নাল আবদীন ভবনের নিচতলার অর্ধেকাংশজুড়ে নবরূপে সাজানো হয়েছে। বই রাখার আলমারি থেকে শুরু করে সর্বত্র লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া। বাড়ানো হয়েছে বসার টেবিলের সংখ্যা। আলমারিভর্তি বই থরে থরে সাজানো হয়েছে।
কলেজ সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৩১ অক্টোবর দুপুরে আনুষ্ঠানিক ফলক উন্মোচন ও ফিতা কেটে নতুন গ্রন্থাগারটির উদ্বোধন করেন ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী।
লাইব্রেরিয়ান আরজিনা আক্তার চৌধুরী জানান, গত ৩১ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক ফলক উন্মোচন হলেও পুরাতন ভবন থেকে বইপত্র স্থানান্তরে সময় লেগেছে। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নতুনভবনে সকলের ব্যবহারের উপযোগী করে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। লাইব্রেরিতে ২০ হাজার বই রয়েছে। এর মধ্যে খ্যাতনামা মনীষীসহ দেশের বিশিষ্টজনের জীবনী, মুক্তিযুদ্ধ, গল্প, উপন্যাস, রেফারেন্স বই রয়েছে। শতবছর আগের দুর্লভ কিছু বইও রয়েছে।
কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নোমান হাবিব জানান, পুরোনো লাল বিল্ডিং পরিত্যক্ত ঘোষণার পর লাইব্রেরিতে ছাত্রছাত্রীরা যেতে চাইতেন না। আগে বসার মতো পরিবেশও ছিল না। এখন নতুন ভবনে সুসজ্জিত পরিবেশে শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিমুখী হবে।
ছাত্র সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক নূর করিম জাবেদ জানান, লাইব্রেরিতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস-সংবলিত মুক্তিযুদ্ধ কর্নারে ব্যাপক বই রয়েছে। নতুন প্রজন্ম বই পড়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত তথ্য জানার সুযোগ রয়েছে।
ছাত্র সংসদের ভিপি তোফায়েল আহমেদ তপু বলেন, ‘নতুন লাইব্রেরি পাঠকবান্ধব হয়েছে। আশা করি শিক্ষার্থীরা এখান থেকে অনেক উপকৃত হবে।’
কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক জয়নাল আবদীন বলেন, শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরিমুখী করতে বর্তমান অধ্যক্ষ নবরূপে সজ্জিত করার উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের গড়ে তুলতে ও তাদের গবেষণাকাজে নিয়োজিত করতে লাইব্রেরিটি ভূমিকা রাখবে।
কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ দেলওয়ার হোসেন বলেন, ‘আমি নিজেও ১৯৮১-৮২ ব্যাচে কলেজের ছাত্র ছিলাম। আমাদের সময় লাইব্রেরিটি লাল বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ছিল।’