× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

চট্টগ্রাম করপোরেশনের পিডির কার্যালয়ে দুদকের হানা

চট্টগ্রাম অফিস

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:২১ পিএম

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪৯ পিএম

পিডি ঝুলন কুমার দাশের কার্যালয় থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করছে দুদক। প্রবা ফটো

পিডি ঝুলন কুমার দাশের কার্যালয় থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করছে দুদক। প্রবা ফটো

চট্টগ্রাম মহানগরীতে সড়ক বাতি স্থাপনের একটি প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি দল। এ সময় প্রকল্পটির পরিচালক (পিডি) ঝুলন কুমার দাশের কার্যালয় থেকে কাগজপত্র সংগ্রহ করার পাশাপাশি তাকে বেশ কিছুক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক দল। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে দুদক চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক এনামুল হকের নেতৃত্ব এ অভিযান চালানো হয়।

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চসিকের বিদ্যুৎ বিভাগে অভিযান চালানো হয়েছে। ২০১৯ সালে জাইকার লাইটিং এবং বৈদ্যুতিক পুল স্থাপনের একটি প্রকল্প ছিল। সেই প্রকল্প নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ আসে। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক অভিযান চালিয়েছে। অভিযানে দেখা যায়, ২০১৯ সালে লাইটিং এবং বৈদ্যুতিক পুল স্থাপনের এই প্রকল্পটিতে পাঁচটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছিল। পরে সেটি বাতিল করে ২০২০ সালে রিটেন্ডার করা হয়। ওই রিটেন্ডারে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পায়। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক ২০১৯ সালের টেন্ডারের কোনো কাগজপত্র আমাদের দেখাতে পারেনি। আর যাদেররকে বাদ দেওয়া হলো কী কারণে তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে তা জানাতে পারেননি। দ্বিতীয়বার যে টেন্ডার হয়েছে সেখানে যে প্রতিষ্ঠান লোয়েস্ট (সর্বনিম্ম দরদাতা) তার কাগজপত্র রয়েছে। কিন্তু কারা সর্বোচ্চ দরদাতা ছিল সেটার কোনো কাগজপত্র নেই।

বেশ কিছু অসমাঞ্জস্য পাওয়া গেছে জানিয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, প্রকল্পটিতে বেশ কিছু অসামঞ্জস্য পাওয়া গেছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন সূত্র জানায়, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ট্রাফিক এবং পথচারীদের জন্য কার্যকর ও টেকসই সড়কবাতির আলোয় মহানগরিকে আলোকিত করতে চসিক ‘মর্ডানাইজেশন অব সিটি স্ট্রিট লাইট সিস্টেম অ্যাট ডিফারেন্ট এরিয়া আন্ডার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন’ শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়। চট্টগ্রাম মহানগরীর ৪১ ওয়ার্ডের বিভিন্ন সড়কজুড়ে এলইডি লাইট স্থাপনে ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০১৯ সালের ৯ জুলাই একনেক সভায় প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। বাস্তবায়নকাল ছিল ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। পরে সময় বাড়িয়ে করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। ইতোমধ্যে অনুমোদনের চার বছর পার হলেও প্রকল্প পরিচালকের নানা অনিয়মের কারণে এখনও প্রকল্পের ঠিকাদারও নিয়োগ করা হয়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ভারত সরকার ঋণ দিচ্ছে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং সরকারি তহবিল (জিওবি) থেকে দেওয়া হচ্ছে ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা। 

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা