বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪৪ পিএম
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:১০ পিএম
বাঞ্ছারামপুর সদর থানা। ছবি : সংগৃহীত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে দুইটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেলে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কের বাহাদুরপুর গ্রামের কবরস্থান এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
এ সময় মুখোশধারী ডাকাত দল এক মালদ্বীপ প্রবাসীর পাসপোর্টসহ ১১ জন যাত্রীর কাছ থেকে নগদ টাকা, আট শত মার্কিন ডলার, ১৩টি মোবাইল, স্বর্ণলংকারসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানায়, বাহাদুরপুর গ্রামের কবরস্থান এলাকায় বুধবার রাত ১২টার সময় ৮-১০ জনের ডাকাতের একটি দল রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে রাখে। এরপর ঢাকা থেকে নবীনগর গ্রামে আসা দুইটি মাইক্রোবাস ও একটি মোটরসাইকেল আটকে অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। এসময় মালদ্বীপ প্রবাসী নবীনগর উপজেলার বাড্ডা গ্রামের রিমন মিয়ার কাছ থেকে আট হাজার মার্কিন ডলার, চার ভরি স্বর্ণালংকার, তিনটি মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়াও অন্য একটি মাইক্রোবাসের ও মোটরসাইকেলের যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ৬টি মোবাইল নিয়ে যায়। ১১ জন যাত্রীর কাছ থেকে আনুমানিক নগদ ও স্বর্ণালংকার এবং মালামালসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায় ডাকাত দল।
মালদ্বীপ প্রবাসী রিমন মিয়া প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি এয়ারপোর্ট থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাহাদুর এলাকায় যাওয়ার পর ৮-১০ জনের একটি ডাকাত দল রাস্তায় গাছের গুড়ি ফেলে আমাদের গাড়ি আটকায়। এসময় আমিসহ আমার সঙ্গে থাকা সবাইকে মারধর করে বিদেশ থেকে আনা সব মালামাল নিয়ে যায় ডাকাতরা। এতে আমার আট শত মার্কিন ডলার, ৪ ভরি স্বর্ণ ও ৪টি মোবাইল নিয়ে যায়। পাসপোর্টসহ ব্যাগ নিয়ে যায় তারা। আমি অনেক বলেছি আমার পাসপোর্ট ফেরত দিতে। তারা বলেছে ২ লাখ টাকা দিলে ফেরত দিবো।’
বাহাদুর গ্রামের সফিক মিয়া বলেন, প্রতিবছর শীতকাল শুরুতেই এই এলাকায় ডাকাতি হয়। অথচ এই এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল থাকেনা। রাতে এই রাস্তা দিয়ে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ যেতে চায়না ভয়ে।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন চন্দ্র পাল প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘বাহাদুরপুর গ্রামে ডাকাতির ঘটনা শুনে পুলিশ পাঠানো হয়। আমার এই বিষয়ে কাজ করছি। তবে এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি।’