পাবনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:২৫ পিএম
বর্ধিত সভায় চেয়ার ভাঙচুর। প্রবা প্রতিবেদক
পাবনায় ছাত্রলীগের বর্ধিত সভায় দু-পক্ষের মধ্যে হট্টগোল-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উপস্থিত ছাত্রলীগের নেতাদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা চলছিল। এসময় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিবের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ নেতা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আসনভিত্তিক নির্বাচনী কমিটি গঠন নিয়ে প্রশ্ন করেন। এতে ছাত্রলীগের সভায় উত্তেজনা দেখা দেয় এবং সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। বর্ধিত সভায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মুস্তাকিম মুহিব বলেন, ‘দুই বছর ধরে ছাত্রলীগের কোনো পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে কমিটি চলছে। এতে অনেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রাজনৈতিক জীবন শেষ হয়ে যাচ্ছে। পাবনা সদর থানা ও অ্যাডওয়ার্ড কলেজসহ অনেক জায়গায় বছরের পর বছর ধরে কমিটি নেই। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী কমিটি গঠন করেছে। ১৩২ জনের কমিটিতে ৩০ জনও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী নেই। এই কমিটি কার সঙ্গে সমন্বয় করে গঠন করল? কেন প্রকৃত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের রাখা হয়নি- এসব নিয়ে বর্ধিত সভায় প্রশ্ন করায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমার ওপর চড়াও হয়। আমি আত্মরক্ষা করে চলে আসার সময় একটা হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ বলেন, ‘আমরা বর্ধিত সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের স্মরণ করে এক মিনিট নিরবতা পালন করছিলাম। এসময় পেছন থেকে তারা হৈ হৈ করে হামলা চালিয়েছে। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই ঘটনায় আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদেরও বিষয়টি জানাব। সন্ত্রাসীদের কোনো অবস্থা ছাত্রলীগে নেই, থাকতেও পারবে না।’
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলী বলেন, ‘পাবনা জেলা ছাত্রলীগের বর্ধিত সভাকে ঘিরে একটা ঝামেলা হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখনেও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’