× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

দিনাজপুরের খানসামায় সংরক্ষণ হয়নি বধ্যভূমি, নদীতে বিলীনের আশঙ্কা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:১৩ এএম

আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:০২ এএম

নদীতে বিলীনের আশঙ্কা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বধ্যভূমিটি। প্রবা ফটো

নদীতে বিলীনের আশঙ্কা দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বধ্যভূমিটি। প্রবা ফটো

স্বাধীনতার ৫২ বছরেও সংরক্ষণ করা হয়নি দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বধ্যভূমিটি। অস্থায়ী বাঁশের বেড়ায় দীর্ঘদিন শ্রদ্ধা অর্পণ করে আসছে শহীদ পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। এটিও এখন নদীতে বিলীনের পথে।

স্থানীয় ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংগ্রাম কমিটি ও মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সদস্য, তৎকালীন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অমিয় কুমার গুহকে ১৯৭১ সালের ১ জুন রাতে আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট জহির উদ্দিনের বাড়ি থেকে আটক করে রাজাকাররা। তাকে খানসামা থানায় বন্দি করে রেখে পরদিন পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে তুলে দেয়। হায়েনারা তাকে সাইকেলের সঙ্গে রশি দিয়ে বেঁধে পাশের নীলফামারী ও খানসামা উপজেলার সংযোগস্থল পুলহাট নামক স্থানে ইছামতী নদীর তীরে গুলি করে। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

একই স্থানে আহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা দেওয়া টেডি ডাক্তার ও মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগী খট্টু মিয়াকে হত্যা করে। পরে স্থানীয় তরুণী কান্ত ও নজরুল ইসলামসহ অনেকে তাদের লাশ নদী থেকে তুলে কবর দেয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫২ বছরেও জায়গাটি সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এসব পরিবার ‘শহীদ পরিবার’ হিসেবে স্বীকৃতি পায়নি। শুধু অমিয় কুমার গুহের নামে একটি রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে।

গণকবরের প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, ‘অমানবিক নির্যাতন করে অমিয় বাবুসহ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়। সেই স্মৃতি আজও চোখে ভাসে। কিন্তু এ স্থান সংরক্ষণে কোনো উদ্যোগ নেই। সংরক্ষণ করা না হলে কবরগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।’

বীর মুক্তিযোদ্ধা রোস্তম আলী বলেন, ‘গণকবর সংরক্ষণ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’ খানসামা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শহীদদের কারণেই আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। তাদের স্মৃতি ধরে রাখতে দ্রুত গণকবর সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।’

অমিয় কুমার গুহের নাতি ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকেশ গুহ বলেন, ‘স্বাধীনতা ও আওয়ামী লীগের স্বার্থে দাদু মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপস করেননি। আমরা আজও সরকারি তালিকাভুক্ত হইনি। এখানকার গণকবরও সংরক্ষণ করা হয়নি। গণকবর সংরক্ষণ ও শহীদ পরিবার হিসেবে তালিকা অন্তর্ভুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজউদ্দীন প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এক অনুষ্ঠানে এরই মধ্যে বধ্যভূমি সংরক্ষণের কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। আগামী বছরের ২৬ মার্চসহ সব কার্যক্রম সেখানেই করা হবে।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা