জেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২৯ পিএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৫৭ পিএম
সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সুমন। প্রবা ফটো
স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভোটারদের পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ উঠেছে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সুমন বিরুদ্ধে। তার এ মন্তব্যের ৩০ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে হুমকির বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন নোয়াখালী-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহসভাপতি ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক। এর আগেরদিন মঙ্গলবার বিকালে সেনবাগ উপজেলার বসন্তপুরে এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরাভ হোসেন সুমন এসব কথা বলেন।
ভিডিওতে সৌরাভ হোসেন সুমনকে বলতে শুনা যায়, ‘এটা কী রকম আওয়ামী লীগ, আমার মাথায় ধরে না। যারা বলবে আমি আওয়ামী লীগ, দলের লোকের স্বতন্ত্র ভোট করি। আপনারা নৌকায় ভোট দিবেন না, অন্য মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দিবেন, তাদের ধরে পিটিয়ে মেরে ফেলা দরকার।’
লিখিত অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের আলোকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে আমি নির্বাচনী মাঠে রয়েছি। গত ১২ ডিসেম্বর বিকাল ৫টায় সেনবাগ থানার বসন্তপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৌরব হোসেন সুমন, নৌকার প্রার্থী মোরশেদ আলমের সমর্থনে এক মতবিনিময় সভা করেন। মতবিনিময় সভায় তিনি প্রকাশ্যে নৌকার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র ভোট করা দলীয় প্রার্থীকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পেটানোর হুমকি দেন। আমি তার প্রকাশ্য এই হুমকিতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তার এই হুমকি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনায় বাধা এবং নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে যথাযথ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করছি।
বক্তব্যটিকে ‘স্লিপ অব টাং’ (মুখ ফসকে বেরিয়ে যাওয়া) উল্লেখ করে সৌরাভ হোসেন সুমন বলেন, ‘আমি ঘরোয়া অনুষ্ঠানে পারিবারিক লোকদের সঙ্গে নৌকার মানুষ নৌকার বাহিরে যেতে পারে না মর্মে এমন বক্তব্য দিয়েছি। এটা স্লিপ অব টাং। তবে কোনো সভা অথবা বড় অনুষ্ঠানে বলি নাই। যারা আওয়ামী লীগ করে তারাই আওয়ামী লীগ পরিচয় দিবে। অনেকে আওয়ামী লীগ করে কিন্তু ভোট করতেছে স্বতন্ত্রের। তাদের বিষয়ে এসব কথা বলেছি।’
এ বিষয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’