শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০৫ পিএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০১ পিএম
প্রতীকী ছবি।
গাজীপুরের কালীগঞ্জে আসামী ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আসামী পক্ষের লোকজনের হামলায় ৪ পুলিশ সদস্য আহত সহ হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয়। এসময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২ রাউণ্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ডেমরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার শুভ, শামীম আল-মামুন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সুলতান মাহমুদ এবং কনস্টেবল নাঈমুর রহমান। গুরুতর আহত কনস্টেবল নাঈমুর রহমানকে রাজারবাগ পুলিশ লাইনস হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী কালীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির হায়দার জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোক্তারপুরের ডেমরা গ্রামের জহিরুল হকের স্ত্রী ফাতেমা বেগম (৫০), তার মেয়ে হাফসা আক্তার (১৮)। তারা আসামী আরিফুল হকের মা ও বোন।
কালীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রাজীব চক্রবর্তী জানান, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সাব্বির হায়দার শুভসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আসামি আরিফকে গ্রেপ্তারে উপজেলার ডেমরা গ্রামে যায়। পুলিশ আরিফের বাড়িতে গেলে পরিবারের লোকজন তাকে গ্রেপ্তারে বাধা দেয়। এসময় ধস্তাধস্তি হলে আসামি আরিফ এসআই সাব্বিরের হাত থেকে ওয়্যারলেস সেট ছিনিয়ে নেয়। আত্মসমর্পণ করতে বললে আরিফসহ তার পরিবারের সদস্যরা পুলিশকে ধাওয়া দেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আরিফকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
এসময় উভয় পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আসামী পক্ষের লোকজন পুলিশ কনস্টেবল নাঈমুর রহমানকে কুপিয়ে আহত করে। তাদের হামলায় এসআই সাব্বির, শামীম আল মামুন ও এএসআই সুলতান মাহমুদ আহত হয়। পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।