জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া
প্রকাশ : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪৫ পিএম
আপডেট : ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:০০ পিএম
ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী
লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী মাহবুব উল আলম
হানিফের কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে
এবার বেশ জমজমাট লড়াইয়ের
ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের
নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটাররা। গত দুটি
সংসদ নির্বাচনে হানিফের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী না
থাকলেও এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী
হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন কুষ্টিয়া পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র আনোয়ার আলীর
ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু।
তনু অনুসারীদের দাবি, তনু ক্রীড়া
সংগঠক ও ব্যবসায়ী।
তরুণদের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা
ও জনপ্রিয়তাও বেশ উল্লেখ করার
মতো। এ ছাড়াও
তার বাবা আনোয়ার আলী
কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ বারের নির্বাচিত
মেয়র। এর ফলে
তার নির্দিষ্ট একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। সব মিলিয়ে
আসনটিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে
নতুন সমীকরণ তৈরি করতে
তনুর সব ধরনের রসদ
রয়েছে বলে বিশ্বাস তাদের। তবে হানিফের
অনুসারীরা জানান, কেন্দ্রীয় নেতা
হিসেবে হানিফ যে উন্নয়ন
করেছেন তা অভাবনীয়।
ফলে দলের বাইরে সাধারণ
ভোটাররাও তার পক্ষে ভোটের
মাঠে নামবেন।
স্থানীয়
আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও
ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে
জানা যায়, ২০১৮ সালের
নির্বাচনে এই আসনে হানিফের
প্রতপক্ষ বিএনপির প্রার্থী মাঠেই নামতে পারেননি। হামলা-মামলায়
আক্রান্ত হয়ে ঘরে বসে
থাকতে হয়েছে। এর
আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে
বিএনএফের দুর্বল প্রার্থী ছিলেন
নৌকার প্রতিপক্ষ। সে তুলনায়
এবারে তনু শক্তিশালী প্রার্থী
বলে মনে করছেন অনেকে।
এক্ষেত্রে
বড় প্রভাবক হিসেবে কাজে আসতে
পারেন তনুর বাবা আনোয়ার
আলী। কুষ্টিয়া পৌরসভার
এই মেয়র আসনটি থেকে
এর আগে ১৯৯১ ও
১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে
সামান্য ভোটে পরাজিত হন। জেলা আওয়ামী
লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক
আনোয়ার আলী এখনও দলের
অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। তার
ছেলে হিসেবে যুবনেতা পারভেজ
আনোয়ার তনু প্রার্থী হলে
একটু বাড়তি সুবিধা পাবেন। এ ছাড়া
ভেতরে ভেতরে আনোয়ার আলীর
সঙ্গে হানিফসহ তার অনুগতদের বিরোধ
আছে।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের
একটি অংশের অভিযোগ, হানিফ
সংসদ সদস্য থাকাকালীন পুরো
সময় কুষ্টিয়ায় সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ ছিল তার চাচাতো
ভাই সদর উপজেলা আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর
রহমান আতার হাতে।
তিনি দলের ত্যাগীদের কোণঠাসা
করে বিএনপি-জামায়াত ও
হাইব্রিড নেতাদের কাছে টেনে নেন। এ কারণে
এর প্রভাব ভোটের মাঠে
পড়তে পারে বলে মনে
করছেন প্রবীণ নেতারা।
এতে বাড়তি সুবিধা পেতে
পারেন তনু।
স্বতন্ত্র
প্রার্থী পারভেজ আনোয়ার তনু
বলেন, আমার পরিবার রাজনীতির
সঙ্গে জড়িত। আমার
বাবা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গেও রাজনীতি করেছেন। তিনি পৌরসভায়
দীর্ঘদিন মেয়র আছেন।
সদর আসন থেকে স্বতন্ত্র
হিসেবে নির্বাচনী লড়াইয়ে নেমেছি।
সাধারণ জনগণ আমাকে ভোট
দেবে বলে আশা করছি।
এদিকে
হানিফের অনুসারীদের দাবি, টানা দুইবারের
সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব
উল আলম হানিফ এলাকায়
ব্যাপক উন্নয়নকাজ করেছেন, যা অন্য কারও
সময় হয়নি।