জামালপুর প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩৩ পিএম
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৪ পিএম
এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বাড়ি ভাঙার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেন বজলুর রশিদ জুয়েল নামে এই শিক্ষক। প্রবা ফটো
জামালপুরে এক শিক্ষকের বসতবাড়ি অবৈধভাবে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (এসিল্যান্ড) ও জামালপুর পৌরসভার এক সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে। জামালপুর পৌর শহরের দক্ষিণ কাচারীপাড়ার বাসিন্দা বজলুর রশিদ জুয়েল নামে এই শিক্ষক মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন, পৌরসভার সব নিয়ম মেনেই তিনি দক্ষিণ কাচারীপাড়ায় পাঁচ তলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়ি নির্মাণের সময় বাড়ির পেছনে থাকা ৫ শতাংশ জমি ৭০ লাখ টাকা দাম ধরে শাশুড়ির নামে হেবা দলিল করেন তার ভাগ্নিজামাই সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কমিশনার মো. বরকত উল্লাহ। ওই জমি থেকে বাইরে চলাচলের জন্য দলিলে তিন ফুট রাস্তার কথা উল্লেখ থাকলেও এখন বরকত উল্লাহ ছয় ফুট দাবি করছেন। এ নিয়ে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সহকারী কমিশনার বরকত উল্লাহ পৌরসভার সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিনের যোগসাজশে পাঁচ তলা ভবন ভেঙে ফেলছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষক অভিযোগ করেন, ভবন না ভাঙতে সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিন তার কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন এবং ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভূমি সহকারী কমিশনার মো. বরকত উল্লাহ ও সার্ভেয়ার রবিনের লোকজনের হুমকিতে শিক্ষক পরিবারটি বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। তিনি ভূমি সহকারী কমিশনার বরকত উল্লাহ ও সার্ভেয়ার রবিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
তবে এসব অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন মো. বরকত উল্লাহ। তিনি বলেন, ’পারিবারিক দ্বন্দ্বে তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। পৌরসভা যথাযথ নিয়মেই ওই ভবন ভাঙছে।’
সার্ভেয়ার আরিফুল ইসলাম রবিন বলেন, ‘পৌরসভার নির্দেশেই ভবনটি ভেঙে ফেলা হচ্ছে।’