ফুলগাজী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:০৩ পিএম
দীর্ঘ ২১ বছরের অপেক্ষার অবসান হলো। ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু হয়েছে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম। ২০০২ সালে হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরু হয়। তখন থেকেই সেবাটির জন্য সাধারণ রোগীরা জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিকের দ্বারস্থ হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবাটি চালু হওয়ায় তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ৩১ শয্যার ফুলগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বল্প পরিসরে জনবল ও সেবা নিয়ে চালু হওয়া জনগুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানটি শম্বুক গতিতে চলছিল। সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম দায়িত্ব গ্রহণের পর সেবা সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেন। চালু হয় প্রসূতি ও সিজারিয়ান সেবা কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালটিতে চালু হয় আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা কার্যক্রম।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতালটির কার্যক্রম শুরুর পর থেকে জনবল, শয্যা, যন্ত্রপাতি সংকটসহ নানা সমস্যা ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে হাসপাতালটিতে সিজারিয়ান কার্যক্রম চালু হওয়ার পর প্রসূতি সেবায় সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম সেবা না থাকায় রোগীদের বিড়ম্বনা ও বেকায়দায় পড়তে হতো। সেবাটির জন্য জেলা শহর অথবা উপজেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে প্রতারণার শিকার হতে হতো। এখন তাদের এসব দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। তবে হাসপাতালে এক্স-রে, ডেন্টাল ও ল্যাব টেকনিশিয়ান নেই দীর্ঘদিন ধরে। ফলে টেকনিশিয়ানের অভাবে এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
সালমা আক্তার নামের এক গৃহিণী জানান, ‘আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেনীতে যেতে হতো। এতে করে প্রসূতির জন্য জেলা শহরে যাতায়াতে স্বাস্থ্য সমস্যাসহ নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হতো। এখন প্রসূতিদের নানা রকম পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম চালু হয়েছে। এটি স্বস্তির খবর, দুর্ভোগের অবসান হবে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুবাইয়াত বিন করিম বলেন, ‘গর্ভকালীন সময়ে প্রায় সব নারীর আল্ট্রাসনোগ্রাম করতে হয়। যোগদানের পর থেকে এখানে সেবা সম্প্রসারণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। সিজার, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও প্যাথলজি কার্যক্রম চালু করেছি। হাসপাতালে বর্তমানে সেবার মান বাড়ায় সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ও প্রত্যাশা বেড়েছে। প্রত্যাশা ও চেষ্টার সম্মিলনে হাসপাতালটি এগিয়ে যাচ্ছে।’