নারায়ণগঞ্জ (শহর) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৯ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:২৪ পিএম
ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত অপুষ্টি ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন হবে। এদিন জেলায় মোট ৪ লাখ ৫৭ হাজার ৯৯০ জন শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
দিনব্যাপী চলমান এ ক্যাম্পেইনে জেলার সব উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন এলাকায় ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৬০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ (জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়)। একইদিনে আরও ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৩০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়। ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে পৃথক পৃথকভাবে আয়োজিত দুটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক কর্মশালায় সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ২২ হাজার ১৪৮ শিশুকে একটি করে নীল রঙের (এক লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের ১ লাখ ০৯ হাজার ৪৮২ শিশুকে লাল রঙের (দুই লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) একটি করে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ মোস্তফা আলী।
শেখ মোস্তফা আলী বলেন, ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে জনসাধারনের মাঝে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বার্তা প্রচার করা হবে। ভিটামিন ‘এ’ যে শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। বাংলাদেশে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ একভূত হয়ে বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করে থাকে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, সকালে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবুল ফজল মুহম্মদ মুশিউর রহমান বলেন, ক্যাম্পেইনের আওতায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সের ৪০ হাজার ১৪৩ শিশুকে একটি করে নীল রঙের (এক লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২-৫৯ মাস বয়সের ২ লাখ ৮৬ হাজার ২১৭ শিশুকে লাল রঙের (দুই লক্ষ ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) একটি করে ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সবাইকে সচেতন করতে চাই যেন আমাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়। এটি একটি জাতীয় ক্যাম্পেইন। ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুলে কোনো ঝুঁকি নেই। তাই অভিভাবকদের বলব, আপনার বাচ্চাকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ান, স্বাস্থ্যঝুঁকি কমান।
জেলা ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট লুৎফর রহমানের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শিল্পী আক্তার, ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের এমটি (ইপিআই) অলক রহমান, মো. আনোয়ার হোসেন, শওকত জামানসহ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।