ফেনী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৪৮ পিএম
ফেনী জেনারেল হাসপাতাল। সংগৃহীত ছবি
হাসপাতালের মর্গে আদরের সন্তানের মরদেহ। দাফনের জন্য প্রস্তুত কবর। মর্গের বাইরে মরদেহের জন্য অপেক্ষা স্বজনদের। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে ২৬ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পর ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এমন চিত্র দেখা গেছে ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গের সামনে।
সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ২৬ ঘণ্টা শেষে স্বজনদের মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
জানা যায়, ৯ ডিসেম্বর শনিবার রাতে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের আবাসন এলাকার আবু বক্করের বড় ছেলে আবু সাঈদের (২০) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে স্বজনরা। তাকে উদ্ধার করে ওইদিন রাত ২টায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে লাশ মর্গে প্রেরণ করে। এরপর কেটে যায় পুরো একটা দিন। গত রোববার পুলিশ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করলেও সময় শেষ হয়ে যাওয়ার অজুহাতে লাশের ময়নাতদন্ত করেনি হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর আলম সুমন।
নিহতের পরিবার জানায়, প্রেমঘটিত অভিমান থেকে আবু সাঈদ আত্মহত্যা করেছে। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আনা হলেও ময়নাতদন্ত করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ এসে সুরতহাল প্রতিবেদন ও তদন্তের কাজ শেষ করে দুপুরে আরএমওকে ফোন দিলে ৩টার পর ময়নাতদন্ত হবে না বলে জানিয়ে দেন। অথচ লাশ পাওয়ার আশায় আমরা বাড়িতে কবর খোঁড়াসহ লাশ দাফনের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছি। আজ (গতকাল) দুপুরে লাশ বুঝে পেলে দাফন করা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, লাশের ময়নাতদন্ত না হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এ ব্যাপারে কর্তব্যরত আরএমও ডা. শাহিনুর আলমের কাছে কৈফিয়ত জানতে চাওয়া হবে।
জানতে চাইলে অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হক বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে রোববার ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। সোমবার দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। বিকেলেই পারিবারিক কবরস্থানে তরুনের মরদেহটি দাফন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডা. শাহিনুর আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।