জয়পুরহাট-১
চম্পক কুমার, জয়পুরহাট
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১৩ পিএম
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:২৪ পিএম
সামছুল আলম দুদু। ছবি: সংগৃহীত
জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি) আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় ২০ লাখ ২৮ হাজার ২০০ টাকা সম্পদ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দেওয়া হলফনামায় উঠে এসেছে লাখপতি থেকে কোটিপতি হওয়ার তথ্য। টানা ১০ বছর সংসদ সদস্য থাকা দুদুর স্ত্রীও পিছিয়ে নেই। তার আয় ১০ লাখ ৩১ হাজার থেকে ৬৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪১২ টাকা হয়েছে।
২০১৪ সালে নির্বাচনে সামছুল আলম দুদু নিজের বার্ষিক আয় উল্লেখ করেছেন কৃষি খাতে ৩০ হাজার টাকা, যা ২০১৮ সালে হয়েছিল ৪০ হাজার, সেই খাতে এবার ১ লাখ টাকা হয়েছে। আবার ব্যবসায় সে সময় আয় ছিল ৬০ হাজার টাকা, এবার তার ব্যবসায় কোনো আয়ের কথা উল্লেখ নেই। তবে অন্যান্য খাতের ১ লাখ ২৫ হাজার ২০০ টাকা বেড়েছে ২০১৮ সালেই, এবারও ওই খাতে ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫০ টাকা আয় তার।
অস্থাবর সম্পদে ২০১৪ সালে নিজের নামে ছিল নগদ ৫০ হাজার টাকা, সেই টাকা বেড়ে ২০১৮ সালে ৭ লাখ হয়েছিল, এবার তা ২ লাখ হয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সে সময় জমা থাকা ৫ হাজার টাকা এবার এসেছে ৫ লাখ ২ হাজার ৮০০ টাকায়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেখানো ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মোটরসাইকেলের জায়গায় এসেছে ল্যান্ডক্রুজার গাড়ি। ২০১৮ সালে ৫১ লাখ ২৭ হাজার ৩৬০ টাকা দামে দেখানো ওই গাড়িটি এবার ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার টাকা হয়েছে। তা ছাড়া ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও আসবাবের জন্য ২০১৪ সালে দেখানো ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা এবার ১ লাখ ৫০ হাজার হয়েছে।
স্থাবর সম্পদে ২০১৪ সালে দেখানো ৯ লাখ টাকার ১০ বিঘা কৃষিজমি এবার ৩০ লাখ টাকা হয়েছে। ২ লাখ ২০ হাজার টাকায় ২২ শতক অকৃষি জমি ২০১৪ সালে থাকলেও এবার সেখানে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ১২ শতক জমির কথা উল্লেখ আছে। তার পাকা দ্বিতল বাড়ি, টিনশেড বৈঠকখানা ও গরুর খামারে সে সময় দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ টাকা, এবার সেখানে দেখানো হয়েছে ৮ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে সামছুল আলম দুদু ঢাকায় কোনো জমি থাকার কথা উল্লেখ না থাকলেও তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ঢাকার পূর্বাচলে ৩ কাঠার একটি প্লট থাকার কথা উল্লেখ করেছিলেন, আর এর দাম ছিল ৬ লাখ টাকা। তবে সেই টাকা ৫০ হাজার বেড়ে এবার ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়েছে।
সামছুল আলম দুদুর সঙ্গে বেড়েছে তার স্ত্রীর সম্পদও। ২০১৪ সালে দেখানো ৯ লাখ ৮০ হাজার টাকার মাইক্রোবাস এবারও ওই দাম ধরা হয়েছে। টিভি-ফ্রিজের দাম সে সময় ধরা না থাকলেও এবার ৪৯ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। আর খাট, সোফার দাম ৫১ হাজার টাকা রয়েছে। সে সময় স্ত্রীর নামে কোনো স্থাবর সম্পদ না থাকলেও এবার ১১ শতক জমি থাকার কথা উল্লেখ রয়েছে, আর সেই জমির দাম ধরা হয়েছে ৪৮ লাখ ৩৮ হাজার ৪০০ টাকা। তবে সোনা কমেছে এই সংসদ সদস্যের স্ত্রীর। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ ভরি দেখানো সোনা ২০১৮ সালেই ৪ ভরি হয়েছে। এবারও ৪ ভরি রয়েছে, আর এর অর্জিত দাম ধরা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা।