× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর

খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা শঙ্কায় কৃষকরা

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:৩৯ এএম

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৪৭ এএম

ইটভাটার মাটি পরিবহনে প্রবহমান খালে বাঁধ দেওয়ায় তলিয়ে গেছে ৩০০ বিঘা জমি। বাঞ্ছারামপুরে তিলককান্দি-কলাকান্দি এলাকায়। প্রবা ফটো

ইটভাটার মাটি পরিবহনে প্রবহমান খালে বাঁধ দেওয়ায় তলিয়ে গেছে ৩০০ বিঘা জমি। বাঞ্ছারামপুরে তিলককান্দি-কলাকান্দি এলাকায়। প্রবা ফটো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি পরিবহনে খালে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে কৃষিজমির পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের কলাকান্দি-নিজকান্দি বিলের অন্তত ১০০ বিঘা বোরো জমিতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ায় আরও ৩০০ বিঘা জমিতে বোরো চাষে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কৃষকরা একাধিকবার বাঁধ অপসারণ করতে বললেও তা করা হচ্ছে না। বাঁধ দিয়ে প্রতিদিন ভাটায় মাটি নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকার কৃষকদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ফরদাবাদ ইউনিয়নের তিলককান্দি ও কলাকান্দি গ্রামের পূর্ব ও দক্ষিণ পাশে ৫০০ বিঘার মতো ফসলি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ বিঘার মতো বোরো চাষ করেন এলাকার কৃষকরা। কলাকান্দি-নিজকান্দি গ্রামের ফসলি জমির মাঝ দিয়ে একটি খাল তিলককান্দি ও গাওড়াটুলি হয়ে তিতাস নদীতে পড়েছে। প্রবহমান এ খালটি দিয়ে নদীর পানি আসা-যাওয়া করে। ফলে কৃষকরা সহজে চাষাবাদ করতে পারেন।

সম্প্রতি তিলককান্দি গ্রামের মিতালি ব্রিকসে মাটি বিক্রি জন্য চরলহনিয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম নামে একজন খালে বাঁধ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করেছেন। ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় ট্রাক্টর দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। এতে পার্শ্ববর্তী অনেক নিচু জমি তলিয়ে গেছে। বিশেষ করে এই মৌসুমে রোপণ করার জন্য তৈরি করা বোরো চারার জমি তলিয়ে গেছে। এতে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে এলাকার ৩০০ বিঘা জামির বোরো চাষ।

সরেজমিন দেখা গেছে, মিতালি ব্রিকসের উত্তর পাশে খালের ওপর মাটি ও ইটের খোয়া দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। খালের উত্তর পাশের ফসলি জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর দিয়ে ভাটায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাঁধের কারণে পানি আটকে পাশের নিচু জমি তলিয়ে গেছে। কচুরিপানা আটকে পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। 

কৃষক আনোয়ার ইসলাম বলেন, ‘১৫ শতক জমিতে বোরো চারা করেছিলাম। বৃষ্টির পানিতে তা তলিয়ে গেছে। বাঁধের কারণে পানি সরতে না পারায় চারাগুলো পচে নষ্ট হয়ে গেছে। এখন বোরো চাষ করতে হলে অন্য জায়গা থেকে চারা আনতে হবে। এতে খরচ বেড়ে যাবে।’

ব্লক ম্যানেজার দুলাল মিয়া জানান, প্রতিবছর এই সময় আমাদের জমি শুকিয়ে যায়। কিন্তু এবার খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে পানি সরতে না পারায় এবং বৃষ্টির পানিতে বোরো বীজতলা তলিয়ে গেছে। পাশাপাশি নিচু অনেক জমি তলিয়ে রয়েছে। এভাবে থাকলে ১০০ বিঘার মতো জমিতে বোরো চাষ করা সম্ভব হবে না।

ফরদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মানিক মিয়া বলেন, ‘খালের মধ্যে সাইদুল ইসলাম বাঁধ দেওয়ার কারণে জমির পানি সরতে পারছে না। তার ওপর বৃষ্টির পানিতে বোরো বীজতলা তলিয়ে গেছে। কৃষকরা বিষয়টি জানিয়েছে। বিষয়টি এসি ল্যান্ড স্যারকে জানিয়েছি।’

বাঁধ নির্মাণের বিষয়ে জানতে চাইলে সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘বাঁধের স্থানে পানি যাওয়ার জন্য কয়েকটা পাইপ দিয়েছি। খালের অনেক জায়গায় ছোট ছোট বাঁধ দেওয়া আছে। খালে কচুরিপানা থাকায় পানি সরতে পারছে না।

জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রবহমান খালে বাঁধ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই ধরনের কার্যক্রম কেউ করে থাকলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা