ফলোআপ
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৬ পিএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:২৮ পিএম
আখাউড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স টিম। প্রবা ফটো
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় অভিযান চালিয়ে ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন পণ্য জব্দ করেছে টাস্কফোর্স টিম। রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার সীমান্তবর্তী পশ্চিম বাউতলা এলাকার ঈদগাহ মাঠের কাছে অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘প্রোটিয়া’ ব্র্যান্ডের ১৭৫ পিস রিং রয়েছে, যা হৃদযন্ত্রে ব্লক হলে বসানো হয়। পাইকারিভাবে প্রতিটির মূল্য ১৫ হাজার টাকা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ৩১৩টি ভারতীয় থ্রি-পিস, ৮৩৮ পিস চশমা, ৭৪ পিস চশমার কভার, ১ হাজার ৫০ পিস সিলাভিট মাল্টিভি নামে একজাতীয় মাদক, ৩৬ পিস ভিটামিন সিরাপ উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত কুমার চক্রবর্তী। মালামাল জব্দের বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সমন্বয়ে টাস্কফোর্সের এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। জব্দ করা মালামালের যেগুলো উপযুক্ত, সেগুলো কাস্টমসে জমা দিয়ে নিলামে বিক্রি করা হবে। মাদকসহ অন্যগুলো ধ্বংস করা হবে। জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
তবে বিজিবি জানিয়েছে, এ মালামাল ওই এলাকার মাহবুবুর রহমান নামে একজন এনেছিলেন। অভিযানের সময় তিনি পালিয়ে যান। মাহবুব একজন চিহ্নিত চোরাকারবারি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা আখাউড়া। ওপারে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। আখাউড়া সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু চোরাকারবারি সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। তারা ভারত থেকে অবৈধপথে নিয়ে আসে মাদক, মোবাইল, কাপড় ও কসমেটিকস। এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো চিকিৎসা সরঞ্জাম।
আখাউড়ার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগব্যবস্থা ভালো থাকার সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করছে এসব ভারতীয় পণ্য। মাঝেমধ্যে বিজিবির হাতে মাদক জব্দ হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায় কাপড়, কসমেটিকস ও মোবাইল ফোনের চালান। অবৈধভাবে এসব পণ্য দেশে আসায় একদিকে সরকার বঞ্চিত হচ্ছে রাজস্ব থেকে, অন্যদিকে লাগাম টানা যাচ্ছে না অপরাধ চক্রের। আর এর সঙ্গে জড়িত মূল হোতারা থাকছে আড়ালে।
এ নিয়ে ৩০ অক্টোবর ‘সীমান্তে সুযোগ নিচ্ছে চোরাকারবারি’ শিরোনামে দৈনিক প্রতিদিনের বাংলাদেশের প্রিন্ট ও অনলাইন ভার্সনে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। মূলত এ প্রতিবেদনের পরই উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও বিজিবির সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পরে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।