মানিকগঞ্জ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:১৯ এএম
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:২৩ এএম
কুয়াশায় আচ্ছন্ন পাটুরিয়া ফেরি ঘাট। রবিবার সকালে তোলা। প্রবা ফটো
ঘন কুয়াশার কারণে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া, আরিচা-কাজিরহাট ও ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে ফেরিসহ সব নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ সময় মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ছোট-বড় পাঁচটি ফেরি। এতে তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এই নৌ-পথে চলাচলরত যাত্রী ও যানবাহনের শ্রমিকরা।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই তিন রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বিষয়টি প্রতিদিনের বাংলাদেশকে জানিয়েছেন আরিচা আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মুহাম্মদ খালেদ নেওয়াজ।
তিনি জানান, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এবং ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ এই তিনটি নৌরুটে ২৭ টি ফেরি চলাচল করে। কুয়াশার মাত্রা কেটে গেলে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ জানায়, সন্ধ্যার পর থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট এবং ধাওয়াপাড়া-নাজিরগঞ্জ নৌরুটে কুয়াশা পড়তে শুরু করে। রাত ১০টার পর থেকে কুয়াশার মাত্রা বাড়তে থাকে। রাত ১২টার দিকে কুয়াশার মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করলে চ্যানেলের বিকন বাতি ও মার্কিং পয়েন্টে কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। এতে দুর্ঘটনা এড়াতে এ তিনটি নৌ-রুটে ফেরি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। এতে উভয় ঘাট এলাকায় যানবাহন আটকে পড়তে শুরু করে। এতে তিনটি নৌ-রুটে প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন আটকে রয়েছে। তীব্র শীত ও কুয়াশার মধ্যে মাঝ নদীতে নোঙ্গর করে আছে আরও পাঁচটি ফেরি। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন যানবাহনের শ্রমিক, যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
যাত্রী আব্দুল আলিম বলেন, ‘রাত ২টার সময় ঢাকা থেকে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। এখনো তিন নম্বর ঘাটে অপেক্ষা করছি। কুয়াশার কারণে কুয়াশা করণে নদী পার হতে পারিনি। তীব্র শীতের মধ্যে ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করছি।’
আরেক যাত্রী হাসেম আলী বলেন, ‘রাত ১১টার দিকে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসেছি। আমার গাড়িতে আমিসহ অনেক শিশু রয়েছে। তীব্র শীতে তারা অনেক কষ্ট করছে। এখানে খাওয়া-দাওয়া সহ অনেক সমস্যা রয়েছে।’
আব্দুল মজিদ নামে আরেকজন বলেন, ‘রাত ২টার সময় ফেরিঘাটে এসেছি। পরিবারকেকে নিয়ে এসে এখানে খুব দুর্ভোগের আছি। আমরা বরিশালে যাব। কুয়াশা ও তীব্র শীতে খুব কষ্ট করছি ঘাট এলাকায়।’