প্রবা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ০১:২০ এএম
ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন আমু। ছবি : সংগৃহীত
ঝালকাঠি-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন আমুকে তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাখ্যা দিতে চিঠি পাঠিয়েছে কমিশন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ঝালকাঠি জেলা পাকহানাদার মুক্তি দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে জেলার নলছিটি উপজেলা পরিষদ হলরুমে ৮ ডিসেম্বর বেলা ১১টায় এবং ঝালকাঠি পৌরসভার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে বিকেল সাড়ে ৩টায় নির্ধারিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আমুর সহকারী একান্ত সচিব ভ্রমণসূচি জারি করেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আমুকে জানান, অধিক মানুষের উপস্থিতিতে আলোচনা সভা হলে তা জনসভায় পরিণত হতে পারে এবং তাতে আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তবু আমু ওই জনসভায় বক্তৃতা দেন এবং ভোট চান। এর ভিডিও ও স্থিরচিত্র বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়, যা আচরণবিধির পরিপন্থী। এজন্য কেন তার প্রার্থিতা বাতিল করা হবে না সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে ১৫ ডিসেম্বর বিকেল ৩টায় তাকে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে কমিশন।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের বলেন, ঝালকাঠি-২ আসনের একজন প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বিধায় রিটার্নিং অফিসার রিপোর্ট করেছেন। তাই তাকে সশরীরে হাজির হয়ে বক্তব্য দেওয়ার জন্য বলেছে নির্বাচন কমিশন।
বিএনপির মানবন্ধন কর্মসূচি সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সচিব যা বললেন
বিএনপি মানবন্ধনের কর্মসূচি দিয়েছে, বিষয়টিতে নির্বাচন কমিশনের কিছু করণীয় আছে কি না এমন এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাংগীর আলম বলেছেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম দেখভাল করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা সেখান থেকেই গণমাধ্যমকে জানতে হবে।
২৯ ডিসেম্বর হেফাজতে ইসলাম সমাবেশের ডাক দিয়েছে, তারা অরাজনৈতিক সংগঠন—এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের করণীয় জানতে চাইলে মো. জাহাংগীর আলম বলেন, বিষয়টি আমরা পত্রিকার মাধ্যমে জেনেছি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। কমিশন যদি মনে আরো কোনো সাজেশন দেওয়ার প্রয়োজন আছে তাহলে কমিশন দেবে।
যে সকল রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না তারা যদি কোনো সভা-সমাবেশ করে তাহলে সেটা কমিশনের এখতিয়ারের মধ্যে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী যেকোনো কার্যক্রম অবশ্যই নির্বাচনী আচরণবিধি-পরিপন্থী।