বান্দরবান প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৫৯ পিএম
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৩ পিএম
শনিবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। প্রবা ফটো
বান্দরবানে গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এক দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে হয় ২২০ টাকা। অস্বাভাবিক দাম বাড়ার পর শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন। এরপর দাম কমে ফের ১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।
এদিকে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় বান্দরবান বাজারের ফরিদ স্টোরের মালিক মো. ফরিদকে ২৫০০ টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক অরুপ রতন সিংহ।
স্থানীয় সুই হ্লা মং মারমা বলেন, সকাল থেকে অধিকাংশ দোকানে পেঁয়াজ পাওয়া যায়নি। কয়েকটি দোকানে পেঁয়াজ থাকলেও ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি করছিল। কিছু দোকানে ন্যূনতম ১০০০ টাকার সদায় না নিলে পেঁয়াজ বিক্রি করবে না বলে জানায়।
বান্দরবান মাছ বাজার এলাকার জিয়াবুল স্টোরের মালিক জিয়াবুল হোসেন বলেন, ৭ ডিসেম্বর প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১১০ টাকায় বিক্রি করেছি। চট্টগ্রামে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে বিকালে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর ব্যবসায়ী সমিতি ১১০ টাকা দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এখন সে দামেই বিক্রি করছি।
স্বপ্ন চূড়া ডিপার্টমেন্ট স্টোরের মালিক পিন্টু দাশ বলেন, পেঁয়াজের পাশাপাশি রসুন ও আলুর দামও বেড়েছে প্রতি কেজিতে ১৫ থেকে ২০ টাকা। গত ৭ সেপ্টেম্বর আলুর বিক্রয় মূল্য ছিল ৪৫-৪৮ টাকা। এক দিনের ব্যবধানে তা বেড়ে ৫৫-৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অরুপ রতন সিংহ বলেন, অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক দোকানিকে ২৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।