খুলনা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৯ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৪১ পিএম
ভাঙচুর করা খুবির বাস। সংগৃহীত ছবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) বাস ভাঙচুরের ঘটনায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনসহ ৫০ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৫০ জনের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আশিক রেজা মামলাটি করার পর তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা হলেন- ১৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াস হাওলাদার, কর্মী নাসির আহমেদ ও মো. দুলাল।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শের আলম সান্টু, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি একরামুল হক হেলাল, তৈয়েবুর রহমান, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, শেখ সাদী, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাফিজুর রহমান মনি, সদস্য সচিব মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সদস্য সচিব সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বিএনপি নেতা একরামুল কবির মিল্টন, তারিকুল ইসলাম তারেক, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহসভাপতি নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, মহানগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি, সদস্য সচিব তাজিম বিশ্বাস, ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
ওসি মমতাজুল হক জানান, গত বুধবার দুপুরে নগরীর শেরে বাংলা সড়কে বিএনপির মিছিল থেকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বাসে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়। এতে চালকের সহকারী জুয়েলসহ দুজন আহত হয়েছেন। আটক তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে তিজন আটকের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি। শুক্রবার মহানগর বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৬ ডিসেম্বর নগরীর শেরে বাংলা রোডে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি মিছিল শুরু করলে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা হামলা করে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। দুর্বৃত্তদের হামলায় বিএনপির পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়। এরপরও পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মামলা-হামলা করে বিএনপির চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।
অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবু হোসেন বাবু ও সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী প্রমুখ।
অন্যদিকে বাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে খুবি শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স কল্যাণ পরিষদ।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. এস এম ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. লস্কর এরশাদ আলী এবং অফিসার্স কল্যাণ পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী এস এম মনিরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চন্দ্র মণ্ডল শুক্রবার যৌথ বিবৃতিতে এ ক্ষোভ ও নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, শিক্ষকদের বহনকারী বাসে হামলার এমন ঘটনা শুধু নজিরবিহীন নয়। পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের ওপর যেকোনো অজুহাতেই হোক এই হামলা রীতিমতো উদ্বেগজনক। হামলার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা।