নোয়াখালী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৭ পিএম
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:৩৮ পিএম
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে। প্রবা ফটো
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বাজারের নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি সোনার দোকানে লুট চালিয়েছে ডাকাত দল। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৩টার পর উপজেলার চাপরাশিরহাট ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম হত্যা ও ডাকাতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হত্যার শিকার নৈশপ্রহরী মো. শহীদ উল্যাহ কবিরহাটের ধানশালিক ইউনিয়নের উপদ্দি লামছি গ্রামের শামসুল হকের ছেলে।
ডাকাতি হওয়া দোকান দুটি হলো মা-মণি জুয়েলার্স ও নূর জুয়েলার্স। ভুক্তভোগী মালিকপক্ষ জানিয়েছে, ডাকাত দল দোকান দুটি থেকে প্রায় ২৫৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৪০০ ভরি রুপা ও নগদ অর্থ লুটে নিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ২০-২৫ জনের একদল ডাকাত একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজার ঢোকে। রাতে বাজারে পাহারা দেন পাঁচজন নৈশপ্রহরী। এর মধ্যে তিনজনকে বেঁধে ফেলে ডাকাত দলের সদস্যরা। এ সময় ধস্তাধস্তি করতে গেলে শহীদ উল্যাহকে প্রথমে মাথায় আঘাত ও পরে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। আর পিটিয়ে আহত করে বেঁধে রাখা হয় অন্য দুজনকে।
তারা আরও জানান, বিষয়টি টের পেয়ে বাজারে থাকা দুজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক বেরিয়ে এলে তাদেরও মারধর করে বেঁধে রাখা হয়। পরে মা-মণি ও নূর জুয়েলার্সের লকার ভেঙে কয়েকশ ভরি স্বর্ণ ও নগদ অর্থ লুটে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় দোকানগুলোয় ভাঙচুর করা হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে ডাকাতি করতে আসে। তারা গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার করে আমার দোকানের লকার কেটে ২৫০ ভরি স্বর্ণ, ১৫০ ভরি রুপা ও নগদ আড়াই লাখ টাকা লুটে নিয়েছে।’
ডাকাতি পরিকল্পিত অভিযোগ করে মেসার্স নূর জুয়েলার্সের মালিক নূর আলম জানান, ডাকাত দল তার দোকান থেকে প্রায় ৭ ভরি সোনা, ২৫০ ভরি রুপা লুট করেছে।
চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহি উদ্দিন টিটু বলেন, ‘ডাকাত দল রাত সাড়ে ৩টা থেকে প্রায় সাড়ে ৪টা পর্যন্ত দুটি স্বর্ণের দোকানে লুটপাট চালায়। ডাকাতি শেষে তারা গাড়ি নিয়ে ফেনীর সোনাগাজীর দিকে চলে যায় বলে লোকজন জানিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।’
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাস্থল থেকে অনেক আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।’