হাওরাঞ্চল (নেত্রকোণা) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৩ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৫৭ পিএম
উঠান বৈঠকে কথা বলেন শিক্ষক এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ। প্রবা ফটো
নেত্রকোণার বারহাট্টায় ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থীর নির্বাচনী সভায় ভোটের প্রচারণা করার অভিযোগে এক শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
ওই শিক্ষকের নাম এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ। তিনি উপজেলার আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে সরকারি বিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে শোকজ করা হয়।
গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় নেত্রকোণা-২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের ইসলামী ঐকজোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াস আহম্মেদের নিজ বাড়ি বারহাট্টার নুরুল্লার চর গ্রামে নির্বাচনী আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইলিয়াসের পক্ষে কাজ করার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান প্রধান শিক্ষক সাজ্জাদুল হক সবুজ।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদ পারভেজের নজরে আসে। পরে তিনি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন।
বুধবার বিকালেই জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান খান ওই শিক্ষককে শোকজ করেন। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
ইসলামী ঐকজোটের প্রার্থী মো. ইলিয়াস তার নির্বাচনী উঠান বৈঠকে প্রধান শিক্ষক এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজের উপস্থিতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে এসএম সাজ্জাদুল হক সবুজ বলেন, অনুষ্ঠানে গিয়েছি। তবে আমি কারও জন্য ভোট চাইনি। সেখানে খুরশিমুলের জুনাইদ হুজুর এসেছিলেন। আমি হুজুরের কাছ থেকে বাচ্চার জন্য তাবিজ আনতে গিয়েছিলাম। কেউ যদি অভিযোগ করে, সেখানে ভোট চাইতে গিয়েছিলাম, তবে সেটা আমি সামাল দেব। কারণ দর্শানোর নোটিস পাইনি। হাতে পেলে জবাব দেব।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্কমর্তা মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি আমাদের নজরে দিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে ওই প্রধান শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে। তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ও সরকারি চাকরিবিধি ভঙ্গ করেছেন। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জবাব পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সরকারি স্কুলের শিক্ষক কোনো প্রার্থীর হয়ে প্রচারণা চালাতে পারেন না। এটা সরকারি চাকরিবিধি ও নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন।