সীমান্ত হত্যা
ঠাকুরগাঁও প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৩৯ পিএম
আপডেট : ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:১৫ পিএম
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভারতের গোয়ালপুর থানা পুলিশ, বিএসএফ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা পুলিশ ও বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ জহুরুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। প্রবা ফটো
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক জহুরুল ইসলামের মরদেহ দুই দিন পর ফেরত দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের গোয়ালপুর থানা পুলিশ, বিএসএফ এবং ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর থানা পুলিশ ও বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ জহুরুলের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে।
হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ প্রতিদিনের বাংলাদেশকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ২৭ বছরের জহুরুল ইসলাম হরিপুর উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের আব্দুল বাসেতের ছেলে জহুরুল ইসলাম।
গত সোমবার রাতে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত হন তিনি। সেদিন জহুরুলের সঙ্গে গুলিতে প্রাণ হারান একই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে মোখলেছুর রহমানও।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সোমবার ভোরের দিকে হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্তে ৩৭০/৩ মেইন পিলার এলাকায় চোরাই পথে গরু আনতে যান কয়েকজন। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এতে জহুরুল ইসলাম ও মোখলেছুর রহমান আহত হন।
তারা আরও জানান, এ সময় গুলিবিদ্ধ মোখলেছুর প্রাণ বাঁচাতে কাঁঠালডাঙ্গী সীমান্ত নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। অপরদিকে গুলিবিদ্ধ জহুরুলকে বিএসএফ ভারতের স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
দুই দিন পর আজ পতাকা বৈঠক শেষে তার মরদেহ হস্তান্তর করল বিএসএফ।