চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০১ পিএম
আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:১৫ পিএম
সাগরের তলদেশে স্থাপিত সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের পাইপলাইন দিয়ে ক্রুড অয়েল পরিবহনের পর এবার ডিজেল পরিবহন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৪৮ মিনিটে গভীর সাগরে অপেক্ষমাণ মাদার ভেসেল এমটি জেগ অপর্ণা থেকে ডিজেল পাম্প করা শুরু হয়।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ লোকমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, ‘বিকেল ২টা ৪৮ মিনিটে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং (এসপিএম) প্রকল্পের পাইপলাইন দিয়ে ডিজেল সরবরাহ শুরু হয়েছে। এমটি জেগ অপর্ণা জাহাজে ৬০ হাজার মেট্রিকটন ডিজেল আছে। পাম্প করতে ২৮ ঘণ্টা সময় লাগবে।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জাহাজ থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল মহেশখালীর কালারমারছড়া স্টোরেজ ট্যাংকে নেওয়া হবে। সেখানে স্থাপন করা পাম্প আছে। সেগুলো চালিয়ে দেখা হবে। বাল্বসহ আরও কিছু মেশিনারিজ কার্যক্রম আছে। সেগুলো চেক করার পর কালারমারছড়া থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পাইপলাইনে তেল আনা হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পাইপলাইনে কালারমারছড়া থেকে ইস্টার্ন রিফাইনারিতে তেল পরিবহন শুরু হবে। প্রথমে ক্রুড অয়েল, এরপর ডিজেল পরিবহন করা হবে।’
গত জুলাই মাসে 'এমটি হরে' নামের একটি তেলবাহী জাহাজ থেকে প্রথমবারের মতো এসপিএম দিয়ে পরীক্ষামূলক জ্বালানি তেল সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তখন পাইপলাইনে ত্রুটি ধরা পড়ে। ত্রুটি সারিয়ে প্রায় চার মাস পর আবার জ্বালানি তেল সরবরাহ কার্যক্রম শুরু করা হয়। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই পাইপলাইন দিয়ে ক্রুড অয়েল সরবরাহ করা হয়। এটি সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর ডিজেল পরিবহন শুরু হয়েছে ইন্দোনেশিয়া থেকে আসা এমটি জেগ অপর্ণা থেকে।
গতানুগতিক পদ্ধতি সময়সাপেক্ষ, ঝুঁকিপূর্ণ ও ব্যয়বহুল হওয়ায় গভীর সমুদ্র থেকে সরাসরি পাইপলাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের জন্য ২০১৫ সালে এসপিএম প্রকল্প হাতে নেয় ইস্টার্ন রিফাইনারি। শুরুতে তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কথা থাকলেও দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়। তৃতীয় সংশোধনী অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের জুনে শেষ হয়।
প্রকল্পটি আওতায় প্রায় ২২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দুটি পাইপলাইনের পাশাপাশি মহেশখালীর কালারমারছড়া এলাকায় তৈরি করা হয়েছে ছয়টি বিশালাকায় স্টোরেজ ট্যাংক। কালারমারছড়া এলাকায় প্রায় ৯০ একর জায়গা অধিগ্রহণ করে এসব ট্যাংক নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে পরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ১৫০ হাজার ঘনমিটার। অপরিশোধিত তেলের জন্য তৈরি তিনটি স্টোরেজ ট্যাংকের ধারণক্ষমতা ৯০ হাজার ঘনমিটার।