× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

বিএনপির আন্দোলন

‘চাপে’ আত্মগোপনে যাওয়া নেতারা ফিরছেন মাঠে

আবু রায়হান তানিন, চট্টগ্রাম

প্রকাশ : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১১:৪৮ এএম

আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:১২ পিএম

‘চাপে’ আত্মগোপনে যাওয়া নেতারা ফিরছেন মাঠে

নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়ে বিএনপি টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিলেও এসব কর্মসূচিতে মাঠে দেখা যাচ্ছে না দলটির গুরুত্বপূর্ণ নেতাকর্মীদের। ২৮ অক্টোবরের পর থেকে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ নেতাই গা-ঢাকা দিয়েছেন। এ নিয়ে আলোচনা ও সমালোচনা চললেও এতদিন ধরে এই বিষয়ে চুপই ছিল দলটি। তবে এখন বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রশাসনিক চাপ এড়াতে দলীয় সিদ্ধান্তে কৌশলগত কারণে আত্মগোপনে যান দলটির নেতারা।

বিএনপির নেতারা বলছেন, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা পার হওয়ায় এরই মধ্যে সেই কৌশলের আবশ্যকতা শেষ হয়েছে। ফলে সামনের দিনগুলোতে কর্মসূচি বাস্তবায়নে রাজপথে সক্রিয় হবেন নেতারা। মিছিল-মিটিংয়ের পরিমাণও বাড়বে। পাশাপাশি কঠোর কর্মসূচির দিকে যাবেন দলটির নেতারা। 

এরই মধ্যে গতকাল সোমবার চট্টগ্রামের ট্রাঙ্ক রোডে হরতালের সমর্থনে মিছিল করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি। মিছিলে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন, ইঞ্জিনিয়ার বেলায়ত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী সালাউদ্দিন। এই চার নেতাই গত নির্বাচনে যথাক্রমে মিরসরাই, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি ও সীতাকুণ্ড থেকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে তাদের কোথাও দেখা যায়নি।

দলের নেতাদের আত্মগোপনে থাকার কারণ ব্যাখ্যা করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘সাজানো নির্বাচনে বিএনপির নেতাদের প্রার্থী হতে প্রশাসন থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আওয়ামী লীগের নেতারাও খুব প্রচার করেছেন বিএনপির অনেকে নির্বাচনে আসবে। আমাদের কাছে তথ্য ছিল গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে এমন চাপ দেওয়া হবে। তাই নেতারা গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করেছেন।’ 

নির্বাচনে যেতে প্রশাসনিক চাপ ছিল দাবি করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন গেছে আমার এনআইডির জন্য। আমার স্ত্রীকে খুব চাপ দিয়েছে। আমার স্ত্রী বলেছে এনআইডি আমার সঙ্গে। ফটিকছড়িতে সরোয়ার আলমগীরের বাড়িতেও গিয়েছে। এমন অনেকের বাড়িতে পুলিশ গেছে। এখন যেহেতু সেই সুযোগ আর নেই, তাই আমরা প্রকাশ্যে এসেছি। সহসা সবাই মাঠে নামবে।’

এর মধ্যে চট্টগ্রামে বিএনপির কর্মসূচির সংখ্যা বেড়েছে। চট্টগ্রামে বিএনপির হরতাল-অবরোধের সমর্থনে হওয়া মিছিল মিটিংয়ের তথ্য সমন্বয় করেন মহানগর বিএনপির সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রীস আলী। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি জানান, ‘সোমবার চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৪টি মিছিলের তথ্য পেয়েছেন তিনি। গত চার-পাঁচ দিন এই সংখ্য ২০ থেকে ৩০-এর ঘরে ছিল। আগের সপ্তাহে যা ছিল ৮ থেকে ১০টি। মিছিলের সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি মিছিলের আকারও বড় হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে যা আরও বাড়বে।’

এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর আকবর শাহ, ডবলমুরিং ও দামপাড়া এলাকায় আলাদা আলাদা স্থানে দুটি বাস ও সিটি করপোরেশনের ময়লাবাহী একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে একটি যাত্রীবাহী দ্বিতল বাস রয়েছে। সিএমপির পশ্চিম জোনের ডিসি নিহাদ আদনান তাইয়ান প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘হরতাল-অবরোধের সমর্থনকারীরা এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে বলে আমাদের কাছে তথ্য আছে। এর মধ্যে ডবলমুরিংয়ের ঘটনায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর আকবর শাহ থানায় ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।’

যদিও এমন অভিযোগ অস্বীকার করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, ‘নাশকতার সঙ্গে বিএনপির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার বিষয়ে জোর দিচ্ছি। আমাদের লোকজন নাশকতা করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করতে পারত। আমরা মিছিল করতে গেলেইতো পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। কিন্তু আগুন দেওয়ার সময় পারছে না। কারণ আসলে সেসব কাজে আমাদের কেউ নেই।’

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপি টানা কর্মসূচি ডাকলেও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারা মাঠে না থাকায় এবং নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া উৎসবের আমেজে খুব একটা পাত্তা পাচ্ছে না এসব কর্মসূচি। তবুও বিএনপির নেতাকর্মীরা এখনও বিশ্বাস করছেন, শেষ পর্যন্ত এই তফসিলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে না।

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা