× ই-পেপার প্রচ্ছদ বাংলাদেশ রাজনীতি দেশজুড়ে বিশ্বজুড়ে বাণিজ্য খেলা বিনোদন মতামত চাকরি ফিচার চট্টগ্রাম ভিডিও সকল বিভাগ ছবি ভিডিও লেখক আর্কাইভ কনভার্টার

সংসদ নির্বাচন

আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীদের শোকজ সমর্থকদের অর্থদণ্ড

প্রবা প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:৪৩ পিএম

আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থীদের শোকজ সমর্থকদের অর্থদণ্ড

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কারণ দর্শানোর নোটিস দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন। পাশাপাশি একই অপরাধে প্রার্থীর সমর্থকদের দেওয়া হচ্ছে অর্থদণ্ড। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দেশের বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে রাজশাহী-২ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ও ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী ফজলে হোসেন বাদশা এবং আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হয়েছে। সোমবার রাজশাহী-২ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা আদালতের অতিরিক্ত বিচারক বিকাশ কুমার বসাক স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক চিঠিতে এই আদেশ দেওয়া হয়। ওই চিঠিতে দুই প্রার্থীকে আগামী ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

এর আগে গত রবিবার রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকেও একই কারণে আজ মঙ্গলবার স্বশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে নোটিস দেওয়া হয়।

ফজলে হোসেন বাদশা ও মোহাম্মদ আলী কামালকে দেওয়া পৃথক নোটিসে বলা হয়, রাজশাহী-২ আসন থেকে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মনোনীত প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল গত ৩ ডিসেম্বর নগরীর বিভিন্ন এলাকার সড়কে মিছিল ও সমাবেশ করেন। ওই সমাবেশের ফলে জনগণের চলাচলে চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।

শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ ডি এম শহিদুল ইসলাম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইমকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার বিকালে তাদের নোটিশ দেন ওই নির্বাচনী এলাকার অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র সহকারী জজ নুরুল আমিন ভূইয়া। 

নোটিশে আগামীকাল বুধবার বেলা ৩টার মধ্যে দুই প্রার্থীকে স্বশরীরে অথবা প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

দিনাজপুর-৬ (বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শিবলী সাদিককে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছেন আদালত। সোমবার ওই নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও সহকারী জজ হাসিবুজ্জামান স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো চিঠি দেওয়া হয়। শিবলী সাদিককে আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪টার মধ্যে অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের দপ্তরে স্বশরীর উপস্থিত হয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে শিবলী সাদিক বলেন, গত ২৮ নভেম্বর ঘোড়াঘাটের জিরো পয়েন্টে একটি সন্ত্রাসবিরোধী সভার আয়োজন করেছিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা। একই দিনে ঢাকা থেকে তিনিও দিনাজপুরে আসার পথে জিরো পয়েন্টে নেতাকর্মীরা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এতে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে এনেছে। তিনি চিঠি পেয়েছেন। যথাসময়ে লিখিত জবাব দেবেন।

চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে জোরপূর্বক আটকে রাখার ঘটনায় নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ওই স্বতন্ত্রী প্রার্থী ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান। সোমবার রিটার্নিং অফিসার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন তিনি। 

অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নেজামুদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে ওই আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থী তার সমর্থককে আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি আছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তাদের কাছে অভিযোগটি পাঠিয়েছি।

নোয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের সমর্থকদের মাধ্যমে টিআরের টাকা ভাগবাটোয়ারা ও দুই শতাধিক নেতাকর্মী নিয়ে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অভিযোগে সোমবার ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন।

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, নোয়াখালী-২ আসনের নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মৌখিক অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে মোরশেদ আলমের বক্তব্য নিতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সিলেট-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সিলেট-২ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহ্ইয়া চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দেন। এর আগে গত শনিবার তাদের নির্বাচন কমিশন থেকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস দেওয়া হয়।

জবাব দেওয়া শেষে সাংবাদিকদের মাসুক উদ্দিন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে আমি তার লিখিত জবাব দিয়েছি। আমার জবাবে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির সদস্যরা সন্তুষ্ট। একই সঙ্গে সাবধান করেছে যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।’

লক্ষ্মীপুর-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় রায়পুর উপজেলার দক্ষিণ চরবংশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজীকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনিরা খাতুন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ইউপি চেয়ারম্যান মিন্টু ফরায়েজীকে এই অর্থদণ্ড দেন। 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সালেহ মো. মিন্টু ফরায়েজী বলেন, ‘আমি একটু অসুস্থ। এরপরও দুজন মেম্বারকে (ইউপি সদস্য) নিয়ে স্বপ্নযাত্রা অ্যাম্বুলেন্সে করে এমপি সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে লক্ষ্মীপুর গিয়েছি। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের কথা জানান।’

পাবনা-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী মকবুল হোসেন ছাড়া কেউ ভোট করতে পারবে না- পথসভায় এমন বক্তব্য দেওয়ায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজকে তলব করেছেন আদালত। নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির সদস্য ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম নোটিস দিয়ে তাকে তালব করেছেন। এ বিষয়ে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘আদালত আমার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন। আমি আদালতে লিখিত দেব।’

শেয়ার করুন-

মন্তব্য করুন

Protidiner Bangladesh

সম্পাদক : মুস্তাফিজ শফি

প্রকাশক : কাউসার আহমেদ অপু

রংধনু কর্পোরেট, ক- ২৭১ (১০ম তলা) ব্লক-সি, প্রগতি সরণি, কুড়িল (বিশ্বরোড) ঢাকা -১২২৯

যোগাযোগ

প্রধান কার্যালয়: +৮৮০৯৬১১৬৭৭৬৯৬ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (প্রিন্ট): +৮৮০১৯১১০৩০৫৫৭, +৮৮০১৯১৫৬০৮৮১২ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন (অনলাইন): +৮৮০১৭৯৯৪৪৯৫৫৯ । ই-মেইল: [email protected]

সার্কুলেশন: +৮৮০১৭১২০৩৩৭১৫ । ই-মেইল: [email protected]

বিজ্ঞাপন মূল্য তালিকা