ঝিনাইদহ প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৪১ পিএম
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১৯ পিএম
আদালতে ভিকটিম তরুণীকে বিয়ে করেন মিকাইল। প্রবা ফটো
ঝিনাইদহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ধর্ষকের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়েছে। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
ঝিনাইদহের জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিজ্ঞ বিচারক মো. নাজিমুদ্দৌলা বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার শর্তে ধর্ষকের জামিন মঞ্জুর করেন।
বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষ ও তাদের আত্মীয়স্বজনের সম্মতির ভিত্তিতে মামলার আদেশের নির্ধারিত দিনে ৫ লাখ টাকার কাবিনে এ বিয়ের আদেশ দেন আদালত।
বাদী পক্ষের আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার তরুণী দশম শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মিকাইল হোসেন তার প্রতিবেশী। সে তাদের বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত। একপর্যায়ে মিকাইলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে ২০২৩ সালের মে মাস পর্যন্ত একাধিকবার ধর্ষণের ফলে তরুণী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যায়। বিষয়টি সামাজিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা করলেও মিকাইল ও তার পরিবার সমস্ত ঘটনা অস্বীকার করে। পরে তরুণীর মা ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চলতি বছরের ৯ জুন মামলা করেন। এর দুদিন পর পুলিশ মিকাইলকে গ্রেপ্তার করে। মামলা চলাকালে ভিকটিম একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দেয়। ছেলেটির বয়স এখন ৩ মাস।
আইনজীবী সরদার মনিরুল ইসলাম মিল্টন বলেন, ’মামলা চলাকালে আমরা আদালতে ডিএনএ টেস্টের আবেদন করেছিলাম। টেস্টে ফল আসে মিকাইল হোসেন ভিকটিমের গর্ভজাত সন্তান কাজী ইমতিয়াজ আহম্মেদের জৈবিক পিতা।’
তিনি বলেন, ’সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে বিয়ে ছাড়া সামাজিকভাবে আর কোনো উপায় ছিল না। সন্তানের স্বীকৃতিস্বরুপ বাদী-বিবাদী ও উভয় পক্ষের অভিভাবকদের সম্মতিতে এই বিয়ের আদেশ দেন আদালত। ৫ লাখ টাকার কাবিনে আদালতের হাজতখানায় বিয়ে সম্পন্ন হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী ও ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মনজুরুল ইসলাম বলেন, ’বিজ্ঞ আদালত বিয়ের শর্তে আসামিকে জামিন দেন। তাদের বিবাহও সম্পন্ন হয়েছে।’