চট্টগ্রাম-২
সুবল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম
প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১৯ পিএম
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:১৩ পিএম
নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি ও সাইফুদ্দিন আহমদ। প্রবা ফটো
চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের বর্তমান এমপি বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এমপি হয়েছেন। তবে এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত আসনের এমপি খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
শেষ পর্যন্ত ক্ষমতাসীন জোটের মধ্যে আসন সমঝোতা না হলে সেক্ষেত্রে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবেন এমপি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত ও সদ্য পদত্যাগ করা ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হোসাইন মো. আবু তৈয়ব এবং সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চারজনের হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ধনাঢ্য নজিবুল বশরের সঙ্গে লড়বেন দুই কোটিপতি প্রার্থী খাদিজাতুল আনোয়ার ও সাইফুদ্দিন আহমদ। তবে অর্থবিত্তে বলীয়ান এই তিন প্রার্থীকে বাজিমাত করতে হঠাৎ জ্বলে উঠতে পারেন আওয়ামী লীগ নেতা হোসাইন মো. আবু তৈয়ব।
হলফনামায় নজিবুল বশর পেশায় উল্লেখ করেছেন ব্যবসা ও কনসালটেন্সি। এইচএসসি পাস তার ব্যবসা থেকে বার্ষিক আয় ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এমপি হিসেবে সম্মানী পেয়েছেন বছরে ২৩ লাখ ৩০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে বার্ষিক আয় প্রায় ৫৪ লাখ ৩৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া তার নগদ টাকা রয়েছে ১৭ লাখ ২ হাজার টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা রয়েছে ১১ হাজার ৯৪ ইউরো।
নজিবুল বশরের স্ত্রীর রয়েছে নগদ ১৮ লাখ ২১ হাজার টাকা ও দুই ছেলের নামে রয়েছে ৩৭ লাখ ৯২ হাজার ৩৯ টাকা। ব্যাংকে নিজের নামে জমা রয়েছে ৫১ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪৭ টাকা, স্ত্রীর নামে মাত্র ১৪ হাজার ৮৭৫ টাকা এবং দুই ছেলের নামে রয়েছে ৫ লাখ ৯০ হাজার ৯০১ টাকা। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নজিবুল বশরের রয়েছে ৫৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি, গুলশান মডেল টাউনে ২৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা মূল্যের ৫ কাঠা জমি ও ৫টি ফ্ল্যাট।
খাদিজাতুল আনোয়ার সনি হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, নিজ নামে তার নগদ টাকা রয়েছে মাত্র এক লাখ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজ নামে জমা রয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ১১৫ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জ শেয়ারে ২৪ কোটি ৯১ লাখ ৪ হাজার ৫১০ টাকা, পোস্টাল সঞ্চয়পত্র ১৫ লাখ টাকা। গাড়ি রয়েছে ১ কোটি ৮৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮ টাকা দামের মিতসুবিসি। এমবিএ পাস সনির স্থাবর সম্পদের মধ্যে পৈতৃকভাবে প্রাপ্ত চার একর জমির মূল্য ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা, অকৃষি জমির মূল্য ৫০ লাখ টাকা। পাঁচলাইশে থাকা একটি ভবনের মূল্য চার কোটি টাকা। এই প্রার্থী যে বাড়িতে থাকেন সেটির মূল্য প্রায় চার কোটি টাকা।
সাইফুদ্দিন আহমদ হলফনামায় পেশা উল্লেখ করেছেন সম্পত্তি, ব্যবসা ও হাদিয়া থেকে আয়। বিকম পাস সাইফুদ্দিন আহমদের কৃষি খাত থেকে বার্ষিক আয় ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা।
ব্যাংকে নিজের নামে জমা রয়েছে ২ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার ৯৮৩ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র ও স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার রয়েছে নিজের নামে ৫ লাখ টাকার। এ ছাড়া নিজের নামে রয়েছে ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার গাড়ি। স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে সাইফুদ্দিন আহমদের রয়েছে ২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা মূল্যের কৃষিজমি। ৫৭ লাখ ২২ হাজার টাকা মূল্যের একটি ফ্ল্যাট। ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকার মূল্যের চা ও রাবার বাগান এবং মৎস্য খামার রয়েছে সাইফুদ্দিনের।