স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হত্যার হুমকির অভিযোগ

লক্ষ্মীপুর-১ (রামগঞ্জ) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হাবিবুর রহমান পবনকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে রামগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শুভসহ তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকালে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নোয়াখালীর (সদর) অতিরিক্ত সহকারী জজ আদালতের বিচারকের কাছে পবন নিজেই তাদের বিরুদ্ধে লিখিত এ অভিযোগ দেন। অভিযোগে তিনি বলেন, দুপুরে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের পানপাড়া এলাকায় তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শুভ। তার দাবি, পবনের গাড়ি চালক তাদের মোটরসাইকেল চাপা দিতে চেয়েছিল। এ জন্য তিনি রাস্তায় পবনের মাইক্রোবাস দাঁড় করিয়ে এর প্রতিবাদ করেছেন।

হাবিবুর রহমান পবন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য। তার বাড়ি রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বলোড়া গ্রামে।

অভিযুক্ত শুভ লক্ষ্মীপুর-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন খানের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পবন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার আগে যে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর নিয়েছেন তাদের খুঁজে শুভসহ কয়েকজন হুমকি-ধামকি দিয়েছে। তার মনোনয়নের জন্য স্বাক্ষর দেওয়ার বিষয়টি যেন অস্বীকার করে এ ধরণের হুমদি দেয় তারা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে রামগঞ্জ পৌরসভার আঙ্গারপাড়া এলাকা থেকে শুভসহ কয়েকজন পবনের মাইক্রোবাসের গতিরোধের চেষ্টা করে। তারা মোটরসাইকেলযোগে পবনের মাইক্রোবাসের সামনে-পিছে প্রায় ৬ কিলোমিটার এ চেষ্টা চালায়। একপর্যায়ে উপজেলার পানপাড়া এলাকায় রামগঞ্জ-লক্ষ্মীপুর সড়কে তার গাড়ির সামনে মোটরসাইকেল থামায়। তখন তারা নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য পবনসহ তার সহযোগীদের বিভিন্ন ধরণের হুমকি দেয়। আর পবন ও তার গাড়ি চালক কবির হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়।

ঘটনার একটি ভিডিও অভিযোগের সঙ্গে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে জমা দিয়েছেন পবন।

হাবিবুর রহমান পবন বলেন, হুমকিদাতা শুভসহ অন্যরা আনোয়ার খান এমপির অনুসারী। আমি ও আমার গাড়ি চালককে তারা হত্যার হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় আমি লিখিত অভিযোগ করেছি।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, যুবলীগ নেতা পবন মোবাইল ফোনে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।