রাজবাড়ী প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:১৬ পিএম
আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৯ পিএম
হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা। প্রবা ফটো
রাজবাড়ীতে শীত পড়তে না পড়তেই বেড়েছে ডায়রিয়াসহ ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ। তবে ডায়রিয়ায় বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে ৩০-৪০ জন রোগী। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন ও পর্যাপ্ত বেড না থাকায় শীতে মেঝেতে থেকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিদিনই হাসপাতালের আউটডোর ও ইনডোরে ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি, জ্বরসহ বিভিন্ন ধরনের ঠান্ডাজনিত রোগী হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে। ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ রোগী ভর্তি হচ্ছে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় হাসপাতালের বেড ছাড়িয়ে মেঝেতে চিকিৎসাসেবা দিতে হচ্ছে রোগীদের। আর আউট ডোরে প্রতিদিন ঠান্ডাজনিত রোগীসহ হাজারেরও বেশি রোগী চোখ চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বর্তমানে ২০ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ৩৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ২২ জন শিশু ও ১২ জন বয়স্ক রোগী রয়েছে। এসব রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রহিমা বেগম বলেন, ‘শীতের কারণে শিশু বাচ্চার বার বার পাতলা পায়খানা ও বমি হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ডাক্তাররাও রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। তবে বেড না থাকায় ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছি। প্রয়োজনীয় ওষুধও দিচ্ছেন হাসপাতাল থেকে।
রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট রোমেনা আক্তার প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, শীত মৌসুমে ঠান্ডাজনিত কারণে জ্বর, সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। প্রতিদিনই ঠান্ডা জ্বর ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেকে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এসব রোগীর মধ্যে চার বছর থেকে দেড়-দুই বছরের শিশুর সংখ্যাই বেশি। তবে এদের মধ্যে এক বছরের নিচে যে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে, তারা ঝুঁকিতে রয়েছে। শীতে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে ভালোভাবে চিকিৎসা এবং নিয়মিত সেবাযত্ন পেলে পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, শীতে শিশুদের হজম শক্তি কমে যাওয়া ও যেসব শিশুদের মায়ের বুকের দুধের পরিবর্তে বাজারের বিভিন্ন কৌটা জাতীয় দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদের ডায়রিয়া আক্রান্ত বেশি হচ্ছে।