চট্টগ্রাম-২
ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ নভেম্বর ২০২৩ ২১:০২ পিএম
ফটিকছড়ির সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার চৌধুরীর মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। প্রবা ফটো
ফটিকছড়ি, ভূজপুর থানা ও দুই পৌরসভা এবং ১৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম-২ আসন। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য চৌদ্দ দলীয় জোটের অন্যতম তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী।
এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন ফটিকছড়ির সাবেক এমপি রফিকুল আনোয়ার চৌধুরীর মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি।
১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রফিকুল আনোয়ার চৌধুরীর হাতে দলীয় মনোনয়ন তুলে দেয় আওয়ামী লীগ। ওই সময় ফটিকছড়ির মানুষের কাছে ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক হিসেবে পরিচিত রফিকুল আনোয়ারের গ্রহণযোগ্যতা ছিল তুঙ্গে। মনোনয়ন পেয়েই শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বিকে হারিয়ে রফিকুল আনোয়ার জয়ী হন। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের প্রতিকূল সময়েও ফটিকছড়ি থেকে বিজয়ী হয়েছিলেন। ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময়ে অনেক রাজনীতিকের মতো রফিকুল আনোয়ারের ওপরও খড়্গ নেমে আসে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আর অংশ নিতে পারেননি। ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন এই নেতা। এবার সেই আসনেই নৌকার মনোনয়ন পেলেন তারই মেয়ে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। বর্তমানে তিনি সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য। এছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করছেন।
ফটিকছড়িতে দলীয় নানা বিভেদ থাকলেও নির্বাচন ঘিরে ‘ভান্ডারি হটাতে’ জোটবদ্ধ উপজেলা আওয়ামী লীগ। কয়েক বছর ধরে আসনটি উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছিলেন স্থানীয় নেতারা। তবে শেষ পর্যন্ত নৌকার পাল তিনি ওড়াতে পারছেন কি-না তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে জোটের সিদ্ধান্ত পর্যন্ত। কেননা, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বর্তমান সাংসদ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী আসনটির জন্য অনড় রয়েছেন। যদিও এই আসনের জন্য হাত বাড়িয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমেদ। ফটিকছড়ির পরিচিত মুখ সাইফুদ্দিনও এবার নির্বাচন করবেন। নজিবুলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের দূরত্ব বাড়লে শেষ হাসি হাসতে পারেন সাইফুদ্দীন।
এদিকে খাদিজাতুল আনোয়ার সনি মনোনয়ন পাওয়ার খবরে রবিবার রাতে উল্লাসে ফেটে পড়েন দলীয় নেতাকর্মীরা। তাৎক্ষণাৎ বের করা হয়েছে আনন্দ মিছিল। আওয়ামী লীগের কার্যালয় ছাড়াও উপজেলা বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে জনসাধারণের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করেন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে সনি বলেন, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী আমাকে নৌকা প্রতীকের নমিনেশন দিয়েছিলেন। সেবার জোটের কারণে আমি নমিনেশন প্রত্যাহার করেছিলাম। ২০১৮ সালে আমাকে মহিলা সাংসদ মনোনীত করে বিশেষভাবে ফটিকছড়িতে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। আমি সেই দায়িত্ব সততা, নিষ্ঠার সাথে পালন করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি এবং ফটিকছড়ি আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করে শক্ত অবস্থানে দাঁড় করাতে দিন রাত পরিশ্রম করেছি। প্রধানমন্ত্রী আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে নৌকা প্রতীকের নমিনেশন উপহার দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী এবং জনগণকে সঙ্গে নিয়ে ভোট বিপ্লবের মাধ্যমে ফটিকছড়ির আসনটি প্রধাানমন্ত্রীকে উপহার দেব ইনশাআল্লাহ।